বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এবার স্বাস্থ্যসাথী কার্ড (Swasthya Sathi) থাকলেই জটিল চিকিৎসা বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট করানো যাবে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। সম্প্রতি এমনটাই ঘোষণা করল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এদিন রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, এই পরিষেবা রাজ্যের নির্দিষ্ট কয়েকটি সরকারি হাসপাতালে মিলবে, যেখানে ইতিমধ্যেই বোন ম্যারো প্রতিস্থাপন হয়। এর ফলে একদিকে যেমন সাধারণ মানুষের খরচের ভার হালকা হবে, তেমনই রোগীর বেঁচে যাওয়ার আশাও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্যসাথী (Swasthya Sathi) থাকলেই নিখরচায় বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট
এখনও পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের ৯টি হাসপাতালে বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টের সুবিধা রয়েছে, যার মধ্যে ২টি সরকারি। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের খবর, এই বিনামূল্য পরিষেবার প্রস্তাব এসেছে কলকাতার এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (NRS Medical College and Hospital) তরফ থেকে। স্বাস্থ্যসাথী থাকলেই (Swasthya Sathi) এই চিকিৎসা তারা পুরোপুরি নিখরচায় করবে বলে জানিয়েছে।
এই বিষয়ে এনআরএস-এর হেমাটোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক তুফানকান্তি দলুই জানান, “এই মুহূর্তে আমাদের হাসপাতালে ৬০ জন রোগীর বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টের পরিকল্পনা রয়েছে। সমস্ত খরচ বহন করবে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প।”
৮-২০ লক্ষ টাকার চিকিৎসা এবার নিখরচায়
বেসরকারি হাসপাতালে এই চিকিৎসার খরচ পড়ে প্রায় ৮ থেকে ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। তবে এখন সেই ব্যয়বহুল চিকিৎসাও হাতের মুঠোয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, থ্যালাসেমিয়া, অ্যাপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়া, ব্লাড ক্যান্সার, লিম্ফোমা এবং মাইলোমার মতো রোগে বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টই সবচেয়ে কার্যকরী পদ্ধতি।
Eastern India Blood Marrow & Cellular Therapy Meet-এর সেক্রেটারি ও চিকিৎসক রাজীব দে বলেন, “থ্যালাসেমিয়ার ক্ষেত্রে যদি সাত বছরের মধ্যে প্রতিস্থাপন করা যায়, তবে রোগমুক্তির সম্ভাবনা ৯০ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছয়। খরচ বেশি হলেও এটি অত্যন্ত কার্যকর চিকিৎসা।”
আরও পড়ুনঃ প্রথমে ‘দেশদ্রোহী’ তারপরে ‘ভোট চোর’, নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সংসদে বিস্ফোরক রাহুল গান্ধী
প্রসঙ্গত, পূর্ব ভারতে প্রথম বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট শুরু হয় ২০০৯ সালে এনআরএস-এ। পরে ২০১১ সালে মেডিক্যাল কলেজেও চালু হয় এই পরিষেবা। এতদিন পর্যন্ত এই চিকিৎসা মূলত বেসরকারি হাসপাতালে সীমাবদ্ধ থাকলেও এবার তা স্বাস্থ্যসাথীর (Swasthya Sathi) মাধ্যমে সাধারণের নাগরিকের আওতায়।