বাংলাহান্ট ডেস্ক : রথযাত্রার পরপরই রাজ্যের বিভিন্ন মহলে শোরগোল পড়েছিল কসবা ল কলেজ গণধর্ষণ কাণ্ড (Kasba Law College) নিয়ে। আইন কলেজের মধ্যেই ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার হন প্রাক্তন টিএমসিপি নেতা মনোজিৎ মিশ্র সহ ওই কলেজেরই (Kasba Law College) দুই ছাত্র প্রমিত মুখোপাধ্যায় এবং জৈব আহমেদ। গ্রেফতার হয়েছেন এক নিরাপত্তারক্ষীও। এতদিনের তদন্তে পুলিশের হাতে এসেছে ময়না তদন্তের রিপোর্ট, ডিজিটাল এভিডেন্স, গেট প্যাটার্ন রিপোর্ট। এই রিপোর্টের সঙ্গে ধৃতদের বয়ান মেলানো হবে বলে খবর পুলিশ সূত্রে।
কসবা কাণ্ডে (Kasba Law College) অভিযুক্তদের ফের হেফাজতে চায় পুলিশ
জানা যাচ্ছে, মনোজিৎ মিশ্র সহ অন্য দুই পড়ুয়াকে দু দিনের জন্য আবারও নিজেদের হেফাজতে চায় পুলিশ। ধৃত নিরাপত্তারক্ষীকেও তিন দিনের জন্য হেফাজতে চায় পুলিশ। মূল অভিযুক্ত (Kasba Law College) মনোজিৎকে নিয়ে আদালতে প্রশ্নের মুখেও পড়েছিল পুলিশ। ২০২৩ এবং ২০২৪ দুই সালের মামলায় মনোজিৎকে ‘শোন অ্যারেস্ট’ বলে দেখানো হয়েছিল। আদালত পুলিশকে প্রশ্ন করে, এতদিন তারা কী করছিল? এরপর ৫ ই অগাস্ট পর্যন্ত চার অভিযুক্তেরই জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়ানোর নির্দেশ দেয় আদালত।
গুরুতর অভিযোগ আইনজীবীর: এদিকে সম্প্রতি বিষ্ফোরক অভিযোগ এনেছেন মনোজিতের আইনজীবী। তিনি অভিযোগ করেছেন, ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছে মনোজিৎকে (Kasba Law College)। ডিএনএ টেস্টের সময় না জানিয়ে ট্যাবলেটও খাওয়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ। হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ সামনে আনার দাবি জানিয়েছেন অভিযুক্তের আইনজীবী।
আরও পড়ুন : জিয়াগঞ্জে ছাপোষা জীবনযাপন, মাটির মানুষ অরিজিৎ এক একটি শোয়ের জন্য কত পারিশ্রমিক নেন জানেন?
কী অভিযোগ মনোজিতের আইনজীবীর: এখানেই শেষ নয়। তাঁর আরও অভিযোগ, পরীক্ষার জন্য মনোজিৎকে পুলিশের গাড়ি থেকে নামানো হয়নি। পাশাপাশি তাঁর প্রশ্ন, সই করতে পারলেও কেন টিপ ছাপ নেওয়া হয়েছে মনোজিতের? উল্লেখ্য, কসবা কাণ্ডে (Kasba Law College) তথ্যপ্রমাণ উদ্ধারের বিস্তারিত রিপোর্ট ইতিমধ্যেই আলিপুর আদালতে জমা করেছে পুলিশ। মনোজিতের দুটি এবং নিরাপত্তারক্ষীর একটি সহ মোট ৪ টি ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে সেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, জানা গিয়েছে এমনটাই।
আরও পড়ুন : ‘রাম’ হতে কিশোর কুমারের বায়োপিক প্রত্যাখ্যান রণবীরের! কাকে দেখা যাবে গায়কের চরিত্রে?
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২৭ শে জুন কলেজের ইউনিয়ন রুম থেকে রক্তের নমুনা, সোয়াব, চুলের টুকরো সংগ্রহ করা হয়। পাশাপাশি গার্ডরুম থেকেও সংগ্রহ করা হয়েছে রক্তের নমুনা। এই ঘটনার পুনর্নির্মাণও করেছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।