বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা পাচ্ছেনা বাংলা (West Bengal)। বন্ধ রয়েছে একশো দিনের কাজের টাকা। রাজ্যের সব জিএসটির টাকা তুলে নিয়ে যায় কেন্দ্র। কোনও টাকা আর ফেরত দেওয়া হয় না। স্বাস্থ্য খাতেও বাংলার জন্য বরাদ্দ বন্ধ করেছে কেন্দ্র। এইরকম আরও একাধিক অভিযোগ রয়েছে বাংলার শাসকদল তৃণমূলের। আর এবার এরই মধ্যে রেশনের টাকাও (Ration Allocation Money) বন্ধ করল মোদী সরকার (Central Government)। সূত্রের খবর এমনটাই।
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) জানিয়েছেন, রেশন বাবদ বাংলার প্রাপ্য ৭ হাজার কোটি টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বরেই একাধিক খাতে বকেয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রী এই বিষয় গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখবেন বলেও নাকি আশ্বাস দিয়েছিলেন, তবে তারপর বকেয়া মেটানো তো দূর, উল্টে রেশনের টাকাও বন্ধ করল কেন্দ্র। কারণ কি?
সূত্রের খবর, রেশন খাতে খরচের জন্য রাজ্যকে কেন্দ্র যে টাকা পাঠায় তা খরচ করার জন্য যে নির্দিষ্ট গাইডলাইন রয়েছে তা মানেনি পশ্চিমবঙ্গ সরকার। জানিয়ে রাখি, জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের (NFSA) আওতায় রাজ্যের ৬ কোটি ১ লক্ষ গ্রাহককে রেশন দেওয়ার কথা কেন্দ্রের। এবার এই পরিমাণ ৬ গ্রাহককে রেশন দেওয়ার জন্য কেন্দ্র যে টাকা পাঠায়, সেই টাকা দিয়ে রাজ্য ধান ক্রয় করে গ্রাহকদের দেয় রাজ্য। ওদিকে রাজ্য সরকার নিজের ২ কোটি গ্রাহককে রেশনের মাধ্যমে ভরতুকি মূল্যে চাল, গম দেয়।
কেন্দ্রের শর্তাবলী অনুযায়ী, প্রতিটি রেশন দোকানের সামনে ফ্লেক্স বা ব্যানার ব্যানারে প্রধানমন্ত্রীর ছবি টাঙাতে হবে। শুধু তাই নয়, রেশন নেওয়ার পর পয়েন্ট অফ সেল (POS) মেশিন থেকে যে স্লিপ (Acknowledgement Slip) বের হয় সেই স্লিপে জাতীয় খাদ্য সুরক্ষার (NFSA) লোগো থাকাও বাধ্যতামূলক। কেন্দ্রের অভিযোগ অনুযায়ী এই শর্ত গুলি মানেনি রাজ্য। তাই রেশনের টাকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এক্ষেত্রে রাজ্যের ঘুরিয়ে প্রশ্ন, কেবলমাত্র প্রধানমন্ত্রী বা জাতীয় খাদ্য সুরক্ষার লোগো কেন থাকবে? তবে এসব টানাপোড়েন, কেন্দ্র-রাজ্য মধ্যে সবথেকে বড় বিষয় হল রেশনের টাকা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রাজ্য যে সমস্যার মধ্যে পড়তে চলেছে সেই বিষয়ে কোনও দ্বিমত নেই। কারণ একেই আগের থেকে বহু কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা পাচ্ছেনা রাজ্য। এরই মধ্যে মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় রেশনের টাকা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেলে বিপাকে পড়তে পারে মমতা সরকার।
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তোলপাড়! সাতসকালে শহরের ৬ জায়গায় ED হানা, নজরে ‘এই’ প্রভাবশালী
যদিও মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়েছেন কেন্দ্র টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিলেও রাজ্য নিজের এই প্রকল্প চালিয়ে যাবে। রেশন বন্ধ হচ্ছেনা। তবে কতদিন রাজ্য একা এজ পরিস্থিতি সামলাতে পারবে সেই নিয়েও শঙ্কা তৈরী হয়েছে। সূত্রের খবর ইতিমধ্যেই ধান কেনার জন্য রাজ্য অর্থ দফতরকে চিঠি দিয়েছে রাজ্য। চাল চেয়ে খাদ্য নিগম তথা এফসিআইকেও চিঠি পাঠিয়েছে খাদ্য দফতর। তবে কবে সেই চাল মিলবে তা এখনও জানা যায়নি।