CBI তদন্ত নিয়ে একক বেঞ্চের রায়ে হস্তক্ষেপ নয়! হাইকোর্টের নির্দেশে বিপদ বাড়ল শেখ শাহজাহানের

Published on:

Published on:

calcutta high court(13)

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সন্দেশখালিতে দুই খুনের ঘটনায় CBI তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্টের (Calcutta High Court) সিঙ্গেল বেঞ্চ। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর দেওয়া সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন অভিযুক্ত সন্দেশখালির প্রভাবশালী প্রাক্তন তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahajahan)। সোমবার বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি প্রসেনজিৎ বিশ্বাসের ডিভিশন বেঞ্চে এই সংক্রান্ত মামলা উঠলে শাহজাহানের আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়।

আদালতে ধাক্কা শেখ শাহজাহানের | Calcutta High Court

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৮ জুন সন্দেশখালিতে তিন বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। সেই নির্দেশের পাল্টা ডিভিশন বেঞ্চে যান অভিযুক্ত শাহজাহান। এদিন হাইকোর্ট জানায়, সুপ্রিম রায় অনুসারে সিবিআই তদন্তের বিরুদ্ধে অভিযুক্ত শেখ শাহজাহানের আবেদনের কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই। সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়ে হস্তক্ষেপ করার প্রয়োজনীয়তা নেই বলেই মত ডিভিশন বেঞ্চের।

মামলার শুনানিতে শাহজাহানের আইনজীবীর সওয়াল, শাহজাহানকে অভিযুক্ত করে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ঠিকই কিন্তু মামলার আবেদনকারীরা তাঁকে মূল মামলায় যুক্ত করেননি। কেন করা হয়নি তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। যদিও আদালত সেসব ‘যুক্তিতে’ আমল দেয়নি।

কী নিয়ে মামলা?

২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকে সন্দেশখালির ভাঙিপাড়ায় ভোট পরবর্তী সময়ে অশান্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। ৮ জুন সেখানকার একই পরিবারের দুই বিজেপি কর্মী খুনের অভিযোগ ওঠে। পাশাপাশি ওই পরিবারের এক সদস্য নিখোঁজ হয়ে যান। মৃতদের পরিবারের তরফে ন্যাজাট থানায় লিখিত অভিযোগে তৎকালীন তৃণমূল নেতা শাহজাহনের নাম আসে।

Calcutta High Court

আরও পড়ুন: ‘DA মামলার রায়ের প্রভাব গোটা দেশব্যাপী পড়বে’, সুপ্রিম শুনানিতে আর কী কী বললেন দুই বিচারপতি?

এদিকে মামলাটি সিআইডি হাতে নিলে যখন চার্জশিট পেশ হয়, তখন দেখা যায় শাহজাহানের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার পাঁচ বছর পর সিবিআই চার্জশিটকে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে মামলা হয়। কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেন মৃতদের মধ্যে এক জনের স্ত্রী। সেই মামলাতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলে তার বিরোধীতা করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল শাহজাহান। তবে এদিন আদালতের রায়ে তার অস্বস্তি আরও বাড়ল।