হু হু করে বাড়বে সুগার, ডায়াবিটিসের রোগী হলে ভুলেও হাত বাড়াবেন না এই ফলগুলির দিকে

Published on:

Published on:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বর্তমানে অসুখ বিসুখ লেগেই রয়েছে সাধারণ মানুষের। বিশেষ করে রক্তচাপ বৃদ্ধি, সুগার, ডায়াবিটিসের (Diabetes) মতো রোগ বাড়ছে হু হু করে। যদি কারোর ডায়াবিটিস ধরা পড়ে তবে সর্বপ্রথমে খাওয়াদাওয়ায় রাশ টানা জরুরি। বাইরের প্রক্রিয়াজাত খাবার থেকে মিষ্টি, নিষেধাজ্ঞা জারি হয় সবকিছুতেই। তবে ফল খাবারের তালিকায় রাখার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।

ডায়াবিটিসের (Diabetes) ক্ষেত্রে রাশ টানতে হবে ফলেও

বিশেষজ্ঞরা বলেন, নিয়মিত ফল খেলে ডায়াবিটিসের (Diabetes) ঝুঁকি কম হয়। ফলের মধ্যে থাকা ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবারের মতো নানান পুষ্টিগুণ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এগুলি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। তবে ডায়াবিটিসের (Diabetes) রোগীদের ক্ষেত্রে ফল খাওয়ার ব্যাপারেও কিছু নিষেধাজ্ঞা মেনে চলা উচিত।

Which fruits should people with diabetes avoid

কোন ফল খাওয়া উচিত: কিছু কিছু ফলে ফ্রুক্টোজের পরিমাণ বেশি থাকে যা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। যে সমস্ত খাবার বা ফলের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি, সেগুলি খেতে বারণ করেন চিকিৎসকরা। তবে যেসব ফলের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম, সেগুলি খাওয়া যেতে পারে। তবে একসঙ্গে অনেকটা ফল খাওয়াও উচিত নয়। চিকিৎসকরা সাধারণত ডায়াবেটিস (Diabetes) থাকলে দিনে ১০০-১৫০ গ্রাম ফল খাওয়ার পরামর্শ দেন। কোন কোন ফল খাওয়া যেতে পারে ডায়াবিটিসের ক্ষেত্রে?

আরও পড়ুন :  পাক অধিকৃত কাশ্মীরে শেষকৃত্য পহেলগাঁও-জঙ্গির! আচমকাই হাজির লশকর নেতা, গ্রামছাড়া করলেন স্থানীয়রাই

কোন ফল খাওয়া উচিত নয়: পেয়ারা, মুসাম্বি, আপেল, তরমুজ, পেঁপের মতো ফলে ফ্যাট, ক্যালোরি, সোডিয়াম অনেক কম পরিমাণে থাকে। অন্যদিকে ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকে। ফলে এই ফলগুলি ডায়াবিটিস (Diabetes) নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। অন্যদিকে আম, কাঁঠাল, আঙুর, কলা, আতা, সবেদার মতো ফলগুলির গ্লাইসেমিক ইনডেক্স তুলনায় অনেক বেশি। তাই এগুলি ভুলেও খাওয়া যাবে না ডায়াবিটিস থাকলে।

আরও পড়ুন : ‘বাংলার জন্য যে কোনও লড়াই করতে হলে করব’, মমতার সুর প্রসেনজিতের কণ্ঠে! রাজনীতিতে নামার ইঙ্গিত?

দিনের কোন সময়ে ফল খাওয়া উচিত, এ নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে অনেকেরই। তবে পুষ্টিবিদরা বলেন, সকালে খালি পেটে ফল খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। দিনের শুরুতে তাই প্রোটিন এবং ফ্যাট জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত। তবে খুব ভরা পেটে ফল খেলেও ফ্রুক্টোজ জমতে জমতে ফ্যাটে পরিণত হতে পারে। পুষ্টিবিদরা বলছেন, সকালে ফল খেলেও একেবারে খালি পেটে খাওয়া যাবে না। সামান্য কিছু খাবার খেয়ে তারপর ফল খাওয়া যেতে পারে। এছাড়াও সকালে জলখাবার এবং মধ্যাহ্নভোজের মাঝে হালকা খিদে পেলেও ফল খাওয়া যেতে পারে।