বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ ডুরান্ড কাপের ফাইনালে হেরে ট্রফি হাতছাড়া করার পর মাত্র চার মাস অতিক্রান্ত হয়েছে। সমর্থকদের কাছে সেই ফাইনাল হারের জ্বালা এখনো তাজা। তবে সেদিন ১০ জনের মোহনবাগানের বিরুদ্ধে সেই ফাইনাল হারের পরেও সমর্থকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। ইঙ্গিতে সমর্থকদের হতাশ না হয়ে ধৈর্য ধরতে অনুরোধ করেছিলেন।
সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থক কোচের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। আর এদিন কোচের ওপর ভরসা রাখার ফল যেন হাতেনাতে পেলেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। মোহনবাগান সুপার জায়ান্টসকে ৩-১ ফলে উড়িয়ে সুপার কাপের সেমিফাইনালে টিকিট নিশ্চিত করে নিল ইস্টবেঙ্গল। জোড়া গোল করলেন ক্লিয়েটন সিলভা। ডুরান্ড ফাইনালে ওপেন গোলের সুযোগ নষ্ট করে ভিলেন হওয়া নন্দকুমার করলেন আর একটি গোল।
এর আগে ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান দুই দলই শ্রীনিধি ডেকান এফসি এবং হায়দরাবাদ এফসির মুখোমুখি হয়েছিল সুপার কাপের এবং দুই দলকেই হারিয়ে দিয়েছিল তারা। কিন্তু সুপার কাপের চারটি গ্রুপ থেকে কেবলমাত্র একটি দল সেমিফাইনালে যোগ্যতা অর্জন করবে। তাই বাড়তি মাত্রা পেয়েছিল এই ডার্বি।
এদিন ১৯ মিনিটে হেক্টরের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল মোহনবাগান। কিন্তু মাত্র পাঁচ মিনিটের মধ্যেই দূরপাল্লার দুরন্ত শটে গোল করে ক্লিয়েটন সমতায় ফেরায় ইস্টবেঙ্গলকে। প্রথমার থেকে রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্ত পেনাল্টি পেয়েছিল মোহনবাগান, কিন্তু সেখান থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে নিতে ব্যর্থ হন পেট্রাটোস। দ্বিতীয়ার্ধে আদর্শ সুযোগসন্ধানী ফরোয়ার্ডের মতোই দক্ষতায় গোল করে স্কোরলাইন ৩-১ করে দেন নন্দকুমার ও ক্লিয়েটন।
ম্যাচ শেষে মোহনবাগানের এই মুহূর্তের কোচ ক্লিফোর্ড মিরান্ডা জানান ইহারের জন্য দলের তরুণ ফুটবলারদের অনভিক্ষ থাকে দায়ী করেছেন। মিরান্ডা বলেন, ‘রেফারির সিদ্ধান্তটা বুঝতে পারিনি। পেনাল্টি সহ আরো অনেকগুলো সুযোগ নষ্ট হয়েছে, তবে ছেলেদের ওপর আমার কোনও অভিযোগ নেই। আমি সন্তুষ্ট। দলের অনেক ফুটবলাররা বেশ কিছুটা তরুণ। ডার্বির চাপ সামলানো ওদের পক্ষে সহজ নয়। তাই আমার কোনও অভিযোগ নেই।’ অপরদিকে ম্যাচ জয়ের পর ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতকে ঘিরে সমর্থকদের উচ্ছাস ছিল দেখার মতো। অনেকে মিলে তাকে কাঁধে তুলে নেন ও সেলফির আবদার করেন। কাউকেই হতাশ করেননি ইস্টবেঙ্গল কোচ।