বাংলা হান্ট ডেস্ক : জানুয়ারি মাস প্রায় শেষ পর্যায়ে। মাস ঘুরলেই শুরু হবে মাধ্যমিক (Madhyamik Pariksha) ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার হিড়িক। পরীক্ষার প্রস্তুতি যখন তুঙ্গে ঠিক সেই সময়েই বদলানো হয় পরীক্ষার সময় (Exam Time Table)। সম্প্রতি একটি বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে যেখানে বলা হয়, মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে। যা নিয়ে বেশ চিন্তায় পরীক্ষার্থী থেকে শুরু করে শিক্ষক শিক্ষিকারাও।
হাতে আর ১০ দিন মত বাকি, তার আগেই পরীক্ষার সময় বদলানো নিয়ে আপত্তি জানালো পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত শিক্ষক–শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীরা। যদিও এই আপত্তি আদৌ কোনও পরিবর্তন আনতে পারবে বলে মনে করছেনা সংশ্লিষ্ট মহল। সূত্রের খবর, শিক্ষাকর্মীরা জানিয়েছে, এই শীতের দিনে এত সকালে পরীক্ষা শুরু করলে নানা ধরনের অসুবিধা তৈরি হবে।
শিক্ষাকর্মীদের দাবি, সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে পরীক্ষা শুরু হলে প্রশ্নপত্র নেওয়ার জন্য থানায় ছুটতে হবে ভোর ৬টার মধ্যে। সেখান থেকে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছাতে হবে অন্তত ৮টার মধ্যে। কোনও কারণে দেরি হলে পরীক্ষা শুরু হতে দেরি হয়ে যাবে। এতে করে ছাত্রছাত্রীদের জীবনের প্রথম বোর্ড পরীক্ষাতেই একটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়ে যেতে পারে। যা একেবারেই কাম্য নয়।
আরও পড়ুন : রাম মন্দির দর্শন করুন মাত্র ১৬০০ টাকায়! চলে এল ধামাকা অফার, হাওড়া থেকে ছাড়বে স্পেশাল ট্রেন
এসব ছাড়াও আরও একাধিক সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন শিক্ষক শিক্ষিকারা। নয়া সময়সূচি বদলানোর জন্য নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতি (এবিটিএ) মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে স্মারকলিপি দিয়েছে। এইদিন স্কুলশিক্ষক অনিমেষ হালদার বলেন, ‘আমাদের দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দিবাজারের স্কুলের প্রধান শিক্ষক থাকেন সল্টলেকে। তাঁকে ভোর ৪টেয় বাড়ি থেকে বেরোতে হবে।’
আরও পড়ুন : অযোধ্যায় সন্ত্রাসী হামলার ছক! রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে থেকে ধৃত ৩, রয়েছে খলিস্তানি যোগ
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুকুমার পাইন জানিয়েছেন, ‘পার্বত্য, তরাই, ডুয়ার্স, দক্ষিণবঙ্গ, জঙ্গলমহলের জেলাগুলির প্রত্যন্ত পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছতে অসুবিধায় পড়তে হবে। পরীক্ষা কেন্দ্র বাড়ি থেকে দূরে হলে তো কথাই নেই। ফেব্রুয়ারি মাসে পরীক্ষা। সকালের কুয়াশায় ট্রেন বাতিলও থাকতে পারে। প্রয়োজনে সময় সকাল ১০টা ৪৫ করা হোক।’ শিক্ষাকর্মীদের দাবি, ছাত্রছাত্রীদের বাড়ি দূরে হলে তো আর কোনও কথাই নেই। কুয়াশার কারণে বাস, ট্রেন পেতেও সমস্যা হতে পারে। বাড়ি পৌঁছাতেও দেরি হবে তাদের। এরকম পরিস্থিতিতে পর্ষদ কি শুনবে এই আবেদন? প্রশ্ন তুলছে ছাত্রছাত্রীরাও।