বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রাজ্যে স্বাস্থ্য পরিষেবাকে সবসময় অগ্রাধিকীর দিয়ে এসেছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নানা ধরনের প্রকল্পের তালিকায় নাম জুড়েছে ‘স্বাস্থ্য সাথী’ প্রকল্পের (Swastha Sathi)। বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) চালু করা অন্যতম জনপ্রিয় প্রকল্প হল এই ‘স্বাস্থ্য সাথী’। এর সাফল্যের দিক যেমন রয়েছে, তেমনি একাধিকবার একাধিক অভিযোগও উঠে এসেছে স্বাস্থ্য সাথী নিয়ে। আর এবার এই প্রকল্প নিয়েই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
ঠিক কী বলেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা? শুভেন্দুর দাবি স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধা পেতে এবার থেকে হাসপাতালের আগে যেতে হবে থানায়। শুক্রবার কোচবিহারের মেখলিগঞ্জে বিজেপির জলপাইগুড়ি সাংগঠনিক জেলার এক সভায় উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখান থেকেই এই মন্তব্য করেন নেতা। পাশাপাশি স্বাস্থ্যসাথী কার্ডকে ‘পচা কার্ড’ বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।
শুভেন্দু বলেন, ‘আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের কার্ড পেয়েছেন দেশের ১২ কোটি পরিবারের ৭ কোটি সাধারণ মানুষ। ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসার সুযোগ নিয়েছে সব রাজ্য। আর পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে সেই সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এখানে কী বলে মিথ্যাবাদী, চোর মমতা? বলে, স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড দিয়েছি। এই কার্ড জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ির বেসরকারি হাসপাতাল গুলিতে নিয়ে গেলে সুবিধা পান? ওই কার্ডে ডেলিভারি অপারেশন ইন্টারনাল কোনও অপারেশন কোনোটাই হয় না।
আরও পড়ুন: বাংলায় হবে রামপুজো, BJP-কে অনুমতি দিল কলকাতা হাই কোর্ট, তবে মানতে হবে এই শর্ত
শুভেন্দু বলেন, ‘তিন মাস চালু করে CMC ভেলোর বন্ধ করে দিয়েছে। এইমস, বেঙ্গালোরের দেবী শেঠি, টাটা ক্যান্সার হাসপাতাল, হায়দরাবাদের রেড্ডি হাসপাতাল, শংকর নেত্রালয়, সিএমসি ভেলোর, গুয়াহাটি এইমস, কেউi এই পঁচা কার্ড নেয় না। অর্থপেডিক পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছিল’।
এখানেই শেষ নয়, এর পরই বিস্ফোরোক দাবি করে বিরোধী দলনেতার বক্তব্য, ‘সামনেই ভোট। হাওয়া বড় খারাপ। তৃণমূলের লোকজনকে দেখলেই সবাইকে লোক চোর চোর বলছে। তাই সার্কুলার বেরিয়েছে যে অর্থোপেডিক এবার স্বাস্থ্যসাথীতে করা হবে। কিন্তু কী করা হবে? ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আপনাকে থানায় ডায়েরি করতে হবে। যে আপনি বাথরুমে বা সিঁড়িতে পড়ে গিয়েছেন। নাহলে এর সুযোগ মিলবে না’।