বাংলাহান্ট ডেস্ক : আবহাওয়া ছন্দে ফিরতেই ফের সমুদ্রমুখী মৎস্যজীবীদের ট্রলার। নিম্নচাপের জেরে যতদিন মাছ ধরতে পারেননি তারা, সেই ঘাটতি এবার পূরণ হওয়ার আশায় রয়েছেন মৎস্যজীবী থেকে বিক্রেতারা। কিন্তু ইলিশ (Hilsa Fish) জালে উঠলেও কি বাজারে দামের পরিবর্তন হবে? প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
বিপুল ইলিশ (Hilsa Fish) উঠলেও দাম আকাশছোঁয়া!
মৎস্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মাছ ধরার মরশুমে অর্থাৎ দেড় মাসে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার জেরে মাত্র ১৫-২০ দিনই সমুদ্রে জাল ফেলতে পেরেছেন মৎস্যজীবীরা। কিন্তু তাতেই নাকি উঠেছে বিপুল পরিমাণে ইলিশ (Hilsa Fish)। কিন্তু তা সত্ত্বেও বাজারে রূপোলি শষ্যের দাম নাগাল ছাড়া। কিন্তু কেন?
কত দামে বিকোচ্ছে ইলিশ: কিছু কিছু ট্রলার মালিকরা জানান, সমুদ্র থেকে ধরা ইলিশের (Hilsa Fish) অধিকাংশটাই চলে যাচ্ছে কোল্ড স্টোরেজে। বড় ব্যবসায়ীরা ইলিশে টাকা বিনিয়োগ করায় তাঁরাই মূলত নিয়ন্ত্রণ করছেন বাজারদর। বর্তমানে পাইকারি বাজারে যেখানে ৫০০-৬০০ গ্রাম ইলিশের (Hilsa Fish) দাম কেজিপ্রতি ৬০০ টাকা, সেটাই খোলা বাজারে বেড়ে দাঁড়াচ্ছে কেজিপ্রতি ৮০০-১০০০ টাকায়!
আরও পড়ুন : ‘বুকের বাঁদিকটা চিনচিন করছে তো…’, দেব-শুভশ্রীর ‘পুনর্মিলন’ দেখেই রাজকে খোঁচা প্রাক্তন স্ত্রীর!
কেন বাড়ছে এত দাম: জানা যাচ্ছে, ইলিশের (Hilsa Fish) আমদানি বেশি হলে ডায়মন্ড হারবার এবং কলকাতার বিভিন্ন কোল্ড স্টোরেজে মাছ মজুত করে রাখেন পাইকাররা। এখন যখন বাজারে ইলিশের (Hilsa Fish) জোগান কমে গিয়েছে, তখন কোল্ড স্টোরেজ থেকে বেরোচ্ছে মাছগুলি আর বিক্রি হচ্ছে দ্বিগুণ দামে। তবে কি এভাবেই চলবে ইলিশের দাম বৃদ্ধি?
আরও পড়ুন : ‘যেদিন সত্যি মানুষখেকো বাঘের মুখে পড়বে…’, দিতিপ্রিয়ার অভিযোগের উত্তরে বোমা ফাটালেন জিতু
ট্রলার মালিকদের একাংশ বলছেন, তাঁদের কাছে মাছ স্টোর করে রাখার কোনও ব্যবস্থাপনা নেই। ট্রলার গুলি মাছ নিয়ে আসার পরেই তা সোজা যায় আড়তে। তাঁদের একাংশের মতে, সরকারি স্টোরেজে মাছ রাখা গেলে নিয়ন্ত্রণে রাখা যেত দাম।