দিতিপ্রিয়া-জিতুর দ্বন্দ্বে বিপাকে সিরিয়াল, মাঝপথেই বন্ধ হচ্ছে ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’?

Published on:

Published on:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : টেলিপাড়ায় এই মুহূর্তে চর্চায় জিতু কামাল এবং দিতিপ্রিয়া রায়ের বিবাদ। সোশ্যাল মিডিয়ায় দুজনেই মুখ খুলেছেন পরস্পরের বিরুদ্ধে। দিতিপ্রিয়ার অভিযোগের উত্তরে হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথনের স্ক্রিনশট শেয়ার করেছেন জিতু। এর প্রভাব কি সিরিয়ালে (Serial) পড়ছে?

জিতু-দিতিপ্রিয়ার বিতর্কে সমস্যা সিরিয়ালে (Serial)?

সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমের সামনে এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন পর্দার ‘কিঙ্কর’ ওরফে অভিনেতা অভ্রজিৎ চক্রবর্তী। দিতিপ্রিয়া এবং জিতুর সঙ্গেই তাঁর অধিকাংশ সিন থাকে। কী পরিস্থিতি শুটিং ফ্লোরে? তাঁর কথায়, তাঁরা সকলেই পেশাদার অভিনেতা। তাই কোনোরকম সমস্যা হওয়ার কথা নয়।

Will chirodin e tumi je amar serial end midway

কী বললেন সহ অভিনেতা: সমস্যার বিষয়ে অভ্রজিৎ বলেন, সমস্যা হলে কি আর শুটিং (Serial) করা সম্ভব হত! সেক্ষেত্রে তো সম্প্রচার আটকে যেত। তিনি জানান, জিতুর সঙ্গে শটের বাইরে তাঁর বেশি কথা না হলেও দিতিপ্রিয়াকে তিনি চেনেন বহুদিন ধরেই। এমনকি তাঁর বাবার সঙ্গেও তিনি কাজ করেছেন বলে জানান। অভ্রজিতের কথায়, তাঁদের মধ্যে কোনও সমস্যাই হয়নি। দিব্যি কাজ হচ্ছে।

আরও পড়ুন : জাঁকজমকে টেক্কা দেবে মেট্রোকেও, শিয়ালদহ-রানাঘাট এসি লোকালের ভাড়া কত হল জানেন?

টেলিপাড়ায় ছড়িয়েছে গুঞ্জন: এদিকে টেলিপাড়ার গুঞ্জন বলছে অন্য কথা। মূল নায়ক নায়িকার মধ্যে বিতর্ক ক্রমেই বাড়ছে। প্রকাশ্যেই পরস্পরের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন দুজনে। জল্পনা শোনা যাচ্ছে, সাত দিনের মধ্যে নাকি বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে ধারাবাহিকটি (Serial)। টিআরপি তালিকায় প্রতিপক্ষের থেকে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে এই সিরিয়াল। এমতাবস্থায় সত্যিই কি ধারাবাহিক (Serial) বন্ধ হয়ে যাবে? এ বিষয়ে অবশ্য মুখ খোলেননি নির্মাতারা।

আরও পড়ুন : হিন্দি আগ্রাসনে ধুঁকছে বাংলা ছবি, ইন্ডাস্ট্রিকে বাঁচাতে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেব-প্রসেনজিৎদের

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দিতিপ্রিয়া অভিযোগ করেন, সিরিয়াল শুরু হওয়ার একমাস পর থেকেই তাঁর সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দেন জিতু। শুধুমাত্র হোয়াটসঅ্যাপে কথা বলেন। সেখানেও সহ অভিনেতার কিছু কথায় আপত্তি প্রকাশ করেন তিনি। পালটা কথোপকথনের স্ক্রিনশট শেয়ার করে জিতু লেখেন, “একটা ছোট্ট মেয়ে, বাচ্চা মেয়ে। যে কাজটা করে ফেলেছে,সে নিজেও হয়তো জানেনা যা করেছে সেটা কতটা গভীর। ”রাখাল যেদিন সত্যি মানুষখেকো বাঘের মুখে পড়বে সেদিন কেউ সেটা বিশ্বাস করবে না।”