বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ডেডলাইন পাঁচ দিন। সন্দেশখালি ঘটনায় তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের (TMC Leader Sheikh Shajahan) বাড়িতে নোটিস সেঁটে দিল ইডি (Enforcement Directorate’s)। আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে শাহজাহান হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বুধবার দুপুরে তল্লাশি শেষে শাহজাহানের বাড়ির দেওয়ালে নোটিস সেঁটে দিয়ে যান তদন্তকারীরা।
ইডির দেওয়া নোটিসে লেখা আছে, রেশন মামলায় শাহজাহানের শেখের হাজিরা জরুরি। তাই ২০০২ সালের আর্থিক তছরুপ বিরোধী আইনের ধারা অনুযায়ী, ২৯ জানুয়ারি সকাল ১১টার মধ্যে শাহজাহানকে কলকাতায় ইডি দফতরে হাজিরা দিতে হবে। সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে আধার কার্ড, পাসপোর্ট, ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড এবং নিজের পাসপোর্ট আকারের ছবি সহ বেশ কিছু নথি। এদিন দুপুরে তৃণমূল নেতার বাড়িটি সিল করে দিয়ে যায় ইডি।
সন্দেশখালি ঘটনার ১৯ দিন পর বুধবার সাত সকালে ফের শাহজাহানের বাড়িতে (Sheikh Shajahan) হানা দেয় ইডি। সাথে ছিল ১২৫ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। নেতার বাড়ির তালা ভেঙে ম্যারাথন তল্লাশি চালায় ইডির গোয়েন্দারা। সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ইডির টিম। তার কিছু সময় পর থেকেই শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। একের পর এক ঘরে ঢুকে সুটকেস, আলমারি, চিলেকোঠার তাকেও চলে তল্লাশি।
প্রসঙ্গত, এর আগে চলতি মাসের ৫ তারিখ শেখ শাহজানানের বাড়িতে ইডির অভিযান ঘিরে একেবারে ধুন্ধুমার বেঁধে যায় উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে। সেই সময় তল্লাশির খবর পেয়েই ইডি আধিকারিকদের ওপর হঠাৎ চড়াও তৃণমূল নেতার অনুগামীরা। ইডির আধিকারিকদের মারধরও করেন তৃণমূল নেতার অনুগামীরা। মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় ইডি আধিকারিকদের।
আরও পড়ুন: আচমকাই ব্রেক কষায় মাথায় চোট! আহত মুখ্যমন্ত্রী, বর্ধমান থেকে তড়িঘড়ি ফিরছেন কলকাতায়
নজিরবিহীন এই ঘটনার পর তিনটি এফআইআর দায়ের হয়েছিল ন্যাজাট থানায়। যদিও তার মধ্যে একটি ছিল ইডির বিরুদ্ধে। আপাতত কলকাতা হাই কোর্ট ইডির বিরুদ্ধে করা সেই এফআইআরের তদন্তে স্থগিতাদেশ দিয়েছে। তবে এত কিছুর মধ্যেও ৫ জানুয়ারির পর থেকে আর কোনো খোঁজ মেলেনি শাহজাহানের।