বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটে কে আসবে ক্ষমতায় এই নিয়ে এখন থেকেই রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর আলোচনা। শাসক তৃণমূল কংগ্রেস আত্মবিশ্বাসী যে, উন্নয়নের ভিত্তিতেই চতুর্থবারের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ফিরবে। বিরোধীদের অবশ্য অন্য হিসেব। এই পরিস্থিতিতেই বড়সড় আসন ভবিষ্যদ্বাণী করলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। সম্প্রতি তিনি বিজেপি, বাম ও কংগ্রেসের জন্য আসন্ন বিধানসভা ভোটের সম্ভাব্য ফলাফলের ভবিষ্যৎবাণী করে বার্তা দিয়েছেন।
২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনের সম্ভাব্য ফলাফলের ভবিষ্যৎবাণী করলেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)
রবিবার চুঁচুড়ার রবীন্দ্র ভবনে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। সেখানেই তিনি ২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনের সম্ভাব্য ফলাফল নিয়ে নিজের পূর্বাভাস দেন। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, “২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএম শূন্য, কংগ্রেস শূন্যই থাকবে। বিজেপি তিরিশও পেরবে না। আর তৃণমূল কংগ্রেস বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আবার ক্ষমতায় আসবে। চতুর্থবার মুখ্যমন্ত্রী হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”
কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) এদিন আরও বলেন, “আগস্টেই বিপ্লবীরা ডাক দিয়েছিল ‘ব্রিটিশ তুমি ভারত ছাড়ো।’ তৃণমূল কংগ্রেস ডাক দিচ্ছে বিজেপি তুমি বাংলা ছাড়ো/ বিজেপি তুমি ভারত ছাড়ো। কারণ, নরেন্দ্র মোদী, তোমার দল বাংলা ভাষাকে অপমান করেছে।”
প্রাক নির্বাচনী সমীক্ষা ও রাজনৈতিক পূর্বাভাস নতুন কিছু নয়। সাধারণত ভোটের পর নানা সংস্থা তা করে থাকে। তবে রাজনৈতিক আবহাওয়া দেখে ফলাফল অনুমান করাও প্রচলিত বিষয়। এর আগে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “বিজেপিকে এবার পঞ্চাশের মধ্যে বেঁধে ফেলব।” কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) সেই সংখ্যাটিকে আরও কমিয়ে দিলেন।
‘৩০-এর গণ্ডিও পেরোতে পারবে না বিজেপি’, বললেন কুণাল (Kunal Ghosh)
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের নির্বাচনে বিজেপি ৭৭টি আসন পেয়েছিল। পরে তা নেমে আসে সত্তরের নিচে। আগামী নির্বাচনে বিজেপির টার্গেট ১০০ আসন। তবে কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) মতে, তা পেরোনো দূরের কথা, ৩০-এর গণ্ডিও পেরোতে পারবে না বিজেপি।
২০২৬ সালের বিধানসভা ভোট নিয়ে এখন থেকেই উত্তাপ বাড়ছে রাজ্যে। তারমধ্যে কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) এই বক্তব্য শাসক শিবিরের আত্মবিশ্বাসকে যেমন বাড়াচ্ছে, তেমনই বিরোধীদের মধ্যে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। শেষ পর্যন্ত আসল ফলাফল মিলবে ভোটের ফলপ্রকাশের দিনেই। তবে রাজনৈতিক লড়াইয়ের সুর এখন থেকেই চড়া।