বাংলাহান্ট ডেস্ক : পরীক্ষার কথা শুনলেই গায়ে জ্বর আসে অনেকের। সারা বছর কতটা কী পড়াশোনা করল ছাত্রছাত্রীরা তা জানতেই পরীক্ষা নেওয়া হয়ে থাকে। এমতাবস্থায় অনেকের মনেই সুপ্ত বাসনা জাগত, বই খুলে পরীক্ষা দেওয়া গেলে কেমন হত? সেই স্বপ্নই এবার কার্যত সত্যি হতে চলেছে। পড়ুয়াদের বই খুলে পরীক্ষা দেওয়ার ‘স্বাধীনতা’ দিল সিবিএসই বোর্ড (CBSE Board)। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই চালু হয়ে যাচ্ছে এই নিয়ম।
বই খুলেই পরীক্ষা দেওয়ার নিয়ম চালু করছে সিবিএসই (CBSE Board)
গত জুন মাসে সিবিএসই-র (CBSE Board) সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক বোর্ডের সম্মতিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে আপাতত নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্যই এই নিয়ম চালু হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এই পরীক্ষা পদ্ধতির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ওপেন বুক অ্যাসেসমেন্ট’। ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষ থেকেই চালু হয়ে যাচ্ছে এই নতুন নিয়ম। কিন্তু হঠাৎ এমন নিয়ম চালু করার কারণ কী?
কেন এমন নিয়ম: বোর্ডের (CBSE Board) বক্তব্য অনুযায়ী, বই খুলে পরীক্ষা দেওয়া গেলে পড়ুয়াদের না বুঝেই শুধু মুখস্থ বিদ্যার ঝোঁক কমানো যাবে। এতে তাদের বিশ্লেষণ ক্ষমতা বাড়বে। জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ এবং ন্যাশনাল কারিকুলাম ফ্রেমওয়ার্ক ফর স্কুল এডুকেশন ২০২৩ এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই নয়া নিয়ম চালু করা হচ্ছে বলে খবর।
আরও পড়ুন : বেঙ্গল টপার হয়েই চমক, রাতারাতি নতুন নায়কের এন্ট্রি ‘রাজরাজেশ্বরী রাণী ভবানী’তে
কোন কোন বিষয়ে চালু নিয়ম: জানা যাচ্ছে, আপাতত গণিত, বিজ্ঞান, ভাষা এবং সমাজবিজ্ঞান এই চারটি বিষয়ের ক্ষেত্রে ‘ওপেন বুক’ পরীক্ষা হবে। অর্থাৎ পরীক্ষা চলাকালীন যে কোনও পাঠ্যবই বা ক্লাস নোট দেখেও লিখতে পারবে পরীক্ষার্থীরা (CBSE Board)। যদিও এই পরীক্ষা পদ্ধতি ঐচ্ছিক রাখা হয়েছে বলে খবর। স্কুলগুলিই পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। আপাতত নবম শ্রেণির ক্ষেত্রে শুরু হলেও পরবর্তীতে অন্যান্য ক্লাসেও এই নতুন নিয়ম চালু হতে পারে বলে খবর।
আরও পড়ুন : ১ লাখেরও কম দামে চোখ ধাঁধানো ফিচার্স, ৫৫ কিমি পর্যন্ত উঠবে গতি, এটাই দেশের সবথেকে সস্তা ই-স্কুটার
উল্লেখ্য, ২০২৩ এও এমনই একটি ‘ওপেন বুক’ পরীক্ষার আয়োজন হয়েছিল নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য। সিবিএসই-র পরীক্ষামূলক এই উদ্যোগের ফলাফল বেরোলে দেখা যায় অধিকাংশ পড়ুয়াদের প্রাপ্ত নম্বর ১২-৪৭ শতাংশের মধ্যে। অর্থাৎ পাঠ্যবই সম্পর্কে বেশিরভাগ পড়ুয়ারই সম্যক ধারণা তৈরি হয়নি। তাই পড়ুয়াদের চিন্তাভাবনায় গতি আনতে এমন পরীক্ষার সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন শিক্ষকরাও।