বাংলাহান্ট ডেস্ক: রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে অভিযোগ নতুন কিছু নয়। কোথাও পর্যাপ্ত শিক্ষকের অভাব, আবার কোনও স্কুলে নেই ছাদ। তবে বাঘমুণ্ডিতে সম্প্রতি এমন একটি ঘটনা ঘটল, যা নিয়ে তোলপাড় পড়ে গেছে। বাঘমুন্ডির একটি মাঠে চরে বেড়াচ্ছে কয়েকটি ছাগল। সরকারি স্কুলের ইউনিফর্ম তাদের গায়ে!
রাজ্য সরকারের তরফ থেকে প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়াদের ইউনিফর্ম দেওয়া হয়। সরকারের দেওয়া সেই পোশাক পরে মাঠে ঘাস খাচ্ছে ছাগল। অভিযোগের তীর প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক বলেছেন, এগুলি পুরনো পোশাক।
আরোও পড়ুন : রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কে জাল নথি পেশ! কিভাবে কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন শঙ্কর? জানাল ED
পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডিতে এই ধরনের চাঞ্চল্যকর দৃশ্য দেখা গেছে। সম্প্রতি এই অভিযোগ সামনে এসেছে বাঘমুন্ডি থানা এলাকার চানোর বাসিন্দা দিলীপ প্রামাণিকের দৌলতে। দিলীপবাবু জানিয়েছেন তিনি সকালবেলা মর্নিং ওয়াকে বেরিয়েছিলেন। তখন তিনি দেখেন তার গ্রামেরই এক বাসিন্দা কয়েকটি ছাগল নিয়ে মাঠে গেছেন।
আরোও পড়ুন : পাল্টে যাচ্ছে রেশন কার্ডে গম, চাল নেওয়ার নিয়ম! অমান্য করলেই আর পাবেন না খাদ্যসামগ্রী
প্রত্যেকটি ছাগলের গায়ে রয়েছে সরকারি প্রাথমিক স্কুলের ইউনিফর্ম। দিলীপবাবু এই ঘটনার জন্য দায়ী করেছেন প্রাথমিক স্কুলের উদাসীনতাকেই। দিলীপ বাবুর আরো অভিযোগ, পড়ুয়াদের জন্য রাজ্য সরকার বিভিন্ন ধরনের কাজ করছে। তবে শিক্ষকদের উদাসীনতার জন্য পড়ুয়ারা সেইসব সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
গ্রামের মানুষ এই ঘটনার জন্য অভিযোগ করেছেন বাঘমুন্ডির নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ের শিক্ষক মলয় রঞ্জন মাজির বিরুদ্ধে। প্রধান শিক্ষক মলয় রঞ্জন মাজি সব অভিযোগ ভিক্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। প্রধান শিক্ষকের দাবি, এই পোশাকগুলি পুরনো নীল রঙের। এখন স্কুলের ইউনিফর্ম সাদা রঙের হয়েছে।
পড়ুয়াদের পোশাক কীভাবে ছাগলের গায়ে গেল সেই বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তবে, খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে ছাগলের এই ঘটনাটি। পাশাপাশি ছাগলগুলির মালিক বলেছেন, এই পোশাকগুলি স্কুলের কোনও শিক্ষক তাকে দেয়নি বা তাদের পরিবারের কোনও সন্তান ওই স্কুলে পড়াশোনা করে না।