বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমেরিকার শুল্ক নীতি ও বিশ্বের টালমাটাল ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতির জেরে সোনার দাম রেকর্ড গড়েছে গত সপ্তাহে। ইতিমধ্যে কলকাতায় ১০ গ্রাম সোনার দাম ১ লাখের গণ্ডি পার করেছে। ভূ রাজনৈতিক টালমাটালের জেরে ২০২৫ সালে এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত সোনার গহনা বিক্রি হয়েছে ৮৮.৮ টন। যা আগের বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে এই একই সময় সোনার গহনা বিক্রি হয়েছে ১০৬.৫ টন।
লগ্নির ক্ষেত্রে চাহিদা বেড়েছে সোনার বিস্কুট ও স্বর্ণ মুদ্রার, দাবি ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল (Gold)
সোনার দামের (Gold) উত্থানপতন লেগেই থাকে। এছাড়াও সোনার চাহিদা বরাবরই ভারতে বেশি থাকে। এমনকি মাঝখানে লক্ষ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছিল সোনার দাম। বিশেষজ্ঞদের মতে আমেরিকার শুল্ক নীতি ও বিশ্বের টালমাটাল ভূ রাজনৈতিক পরিস্থিতির জেরেই সোনার দাম বর্তমানে রেকর্ড গড়েছে।
ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের তরফ থেকে সম্প্রতি এক বিবৃতি জারি করা হয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে সোনার দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকার পরও সোনার বাট ও সোনার কয়েন কেনার প্রবণতা বেড়েছে সাধারণ মানুষদের মধ্যে। তাদের মতে, গত এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত তিন মাসের বিনিয়োগের মাধ্যমে হিসেবে কয়েন ও বাট বা বিস্কুট মিলিয়ে দেশে সোনা বিক্রি হয়েছে ৪৩.১ টন। কিন্তু এবার সেই সোনার বিস্কুট বেড়েছে প্রায় তিন টন। অর্থাৎ ৪৬.১ টন।
আরও পড়ুন: নিরামিষ রান্নাও খাবে চেটেপুটে, পটল দিয়ে তৈরি করুন সহজ এই রেসিপিটি…
বিশেষজ্ঞদের মতে, সোনার দাম যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে আগামী দিনে আরও বাড়তে পারে হলুদ মুদ্রার দর। তাই এই আশায় বিনিয়োগ হিসেবে সোনা বিক্রি করছেন মধ্যবিত্তরা।
সূত্রের খবর, এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত তিন মাসে দেশে মোট সোনা বিক্রি হয়েছে ১৩৪.৯ টন। ভারতীয় মূল্যে তার দাম প্রায়১ লক্ষ ২১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। পাশাপাশি গত বছরের তুলনায় সোনার দাম অনেকটাই বেড়েছে, তাই ওজনের নিরেখে এক বছর আগের তুলনায় বিক্রি ১০ শতাংশ কমলেও, দামের নিরিখে তা বেড়ে গিয়েছে ৩০ শতাংশ। এছাড়াও ডিসেম্বর পর্যন্ত পর্যন্ত এই বছরে মোট চাহিদা ৭০০ টনে পৌঁছতে পারে, আশা করছে তারা।