বাংলাহান্ট ডেস্ক : বছর ঘুরলে একাধিক রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিহার এবং পশ্চিমবঙ্গ। বিহারে ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে ভোটার তালিকা নিবিড় সংশোধনী প্রক্রিয়া। এই এসআইআরকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। মামলাকারী অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস এর হয়ে আইনজীবী কপিল সিব্বল মঙ্গলবার সওয়াল করেন আদালতে (Supreme Court)।
বিহারে এসআইআর মামলার শুনানি সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)
এদিন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি শুরু হয়। আইনজীবী বলেন, প্রতিটি বুথেই এমন ভুল রয়েছে। তাহলে কীভাবে খুঁজে বের করা হবে? এটা ঠিক নয়। সেইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী আমার কোনও কিছু প্রমাণ করার দায় নেই। যে আমার নাম অন্তর্ভুক্তিতার বিরোধিতা করবে, প্রমাণের দায়ও তাঁর।’
নাগরিকত্ব নিয়ে সরব আইনজীবী: পালটা নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী বলেন, একটি খসড়া তালিকা তৈরি করে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কারোর যদি আপত্তি থাকে তবে জানালে ত্রুটি সংশোধন করা হবে। নাগরিকত্বের প্রমাণের বিষয়ে কপিল সিব্বল (Supreme Court) এদিন বলেন, ১৯৫০ সালের পর যারা জন্মগ্রহণ করেছেন, এমন কেউ যদি ১৯৮৭ থেকে ২০০৩ এর মধ্যে জন্ম না নিয়ে থাকে তবে সে ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী, দেশের একজন নাগরিক হবেন।
আরও পড়ুন : আড়ালে চলছে পরমাণু শক্তিবৃদ্ধি, শীর্ষে আমেরিকা, ভারতের স্থান কত নম্বরে?
কোন নথি প্রয়োজন: কপিল সিব্বল এদিন দাবি করেন, ফর্ম ৫ একটি নোটিশ যা ঝুলিয়ে রাখতে হবে। এছাড়াও নিয়ম ১২ নিয়ে কথা বলেন তিনি! সেখানে লেখা রয়েছে, ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করার আবেদন ফর্ম ৬ এ দিতে হবে। সাক্ষরও করতে হবে। এছাড়াও সেখানে আধার বিবরণীর উল্লেখ রয়েছে যা এসআইআর এর জন্য প্রয়োজনীয়।
আরও পড়ুন : মহুয়ার সঙ্গে ঝামেলার মধ্যেই মোদীর পাশে খোশ মেজাজে সাংসদ, এবার দলবদলের জল্পনা নিয়ে বড় ঘোষণা কল্যাণের
তবে বলা হয়েছে, স্ব সাক্ষরিত জন্মের প্রমাণপত্র আধার না থাকলে জন্মতারিখ এবং স্থায়ী বসবাসের তথ্যগুলি তেই কাজ হবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। তবে আইনজীবী অভিযোগ করেন, নিয়ম অনুযায়ী কোনও চিঠি বা ফর্ম ৪ পাঠানো হয়নি। বাড়ি গিয়ে নথিও সংগ্রহ হয়নি। পরে ফের শুনানি শুরু হলে আদালতের তরফে বলা হয়, সিমকার্ড কিনতে গেলেও তো নথি লাগে। এক্ষেত্রে একটি নথিই যথেষ্ট।