বাংলাহান্ট ডেস্ক : শিল্পীর পরিচয় তাঁর সৃষ্টিতে। যোগীরাজের তৈরি রামলালার মূর্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে অযোধ্যার রাম মন্দিরে। কষ্টিপাথরের ৫১ ইঞ্চির মূর্তি দেখার জন্য দেশ-বিদেশ থেকে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিড় করছেন। রামলালার মূর্তি তৈরি করে এখন লাইম লাইটে ভাস্কর অরুণ যোগীরাজ। তবে রামলালার মূর্তি যখন তিনি তৈরি করছেন, তখন মাঝরাতে ঘুম ভেঙ্গে যেত তাঁর।
গত সাত মাস মাঝ রাতে ঘুম থেকে উঠে বলতেন, ‘রামলালা ডাকছে আমায়।’ অরুণ যোগীরাজের হাতে গত সাত মাস ধরে একটু একটু করে গড়ে উঠেছে বালক রামলালার মূর্তি। অযোধ্যার রাম মন্দিরে গত ২২ শে জানুয়ারি সেই মূর্তির প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়। সংস্কৃত এবং সঙ্গীতের পণ্ডিত আচার্য সুমধুর শাস্ত্রী উপস্থিত ছিলেন সেদিনের প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে।
আরোও পড়ুন : মুছলেন বৈধব্যের চিহ্ন! স্বামীর মৃত্যুবার্ষিকীতে শাখা, সিঁদুর পরে বেনজির কীর্তি ইসলামপুরের মহিলার, তাজ্জ্বব সবাই
অরুণ যোগীরাজের সাথে তিনি এই মূর্তি তৈরির প্রথম দিন থেকেই ছিলেন। সুমধুর শাস্ত্রী শোনালেন অরুণের মাঝ রাতে ঘুম থেকে উঠে পড়ার গল্প। সুমধুর শাস্ত্রী রামলালার মূর্তি তৈরির ঘটনা সম্পর্কে বলতে গিয়ে জানিয়েছেন, ‘‘প্রথমে রামমন্দিরের গর্ভগৃহে মূর্তি তৈরির জন্য এসেছিলেন আরেক ভাস্কর সত্যনারায়ণ পাণ্ডে। তার পর ভেসে ওঠে জেজে ভট্টের নাম। শেষ পর্যন্ত অরুণ যোগীরাজকে মূর্তি তৈরির জন্য নির্বাচিত করা হয়।’’
তিলে তিলে রামলালার মূর্তি তৈরি করেছেন অরুণ যোগীরাজ। সেই ব্যাপারে সুমধুর শাস্ত্রী বলেন, “অরুণ যোগীরাজ মূর্তি তৈরির কাজ কিছুটা দেরিতে শুরু করেছিলেন। তবে ওর সঙ্গে কথা বলা প্রথম দিকে একটু চ্যালেঞ্জের ছিল। পরে ‘ভাঙা ভাঙা’ ইংরেজির সাহায্যে কথাবার্তা চলত দু’জনের মধ্যে। এই মুহূর্তে তৈরির আগে একাধিক পন্ডিত ও শাস্ত্র বিশেষজ্ঞদের সাথে কথা হয়। তবে প্রধান চ্যালেঞ্জ ছিল এই মূর্তির মধ্যে জীবন্ত ভাব ফুটিয়ে তোলা।”