দেড় মাসে ১০ তৃণমূল কর্মী খুন, এবার বাঁকুড়ায় গুলি সিকন্দর খানের মাথায়, অভিযোগ পাড়া প্রকল্পের ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে….

Published on:

Published on:

Trinamool Congress Leader Murder in Sonamukhi Sparks Infighting Allegations Over Govt Funds

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২৬-এর ভোটের আর মাত্র কয়েক মাস বাকি। তার আগেই রাজ্যের নানা প্রান্তে শাসক দলের (Trinamool Congress) নেতা-কর্মী খুনের ঘটনা রাজনৈতিক প্রাঙ্গণে বেড়েছে চাঞ্চল্য। মাত্র দেড় মাসে খুন হয়েছেন অন্তত ১০ জন তৃণমূল নেতা ও কর্মী। অনেক ক্ষেত্রেই খুনের কারণ নিয়ে চলছে জোর তদন্ত। এবার বাঁকুড়ার সোনামুখীতে খুন হলেন তৃণমূল বুথ আহ্বায়ক সিকন্দর খান। অভিযোগের তির উঠেছে দলীয় গোষ্ঠী কোন্দল ও সরকারি প্রকল্পের টাকা দখল নিয়ে বিরোধের দিকে।

সোমবার রাত, বাজার থেকে মোটরবাইকে একা ফিরছিলেন সিকন্দর খান। অভিযোগ, DVC ক্যানালের ধারে নির্জন রাস্তায় পিছন থেকে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। মাথা ও পিঠে গুলি লাগে তাঁর। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। নিহতের স্ত্রী আমিনা বিবির অভিযোগ, প্রশাসন কি করছে? কোথা থেকে অস্ত্র আসে, কাদের কাছে অস্ত্র আছে তা দেখেও ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন।

পরিবারের বিস্ফোরক দাবি

নিহতের বোন রূপসানা বিবির অভিযোগ, এলাকার ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ প্রকল্পের ১০ লক্ষ টাকা দখল নিয়ে এই খুন। তাঁর দাবি, গ্রামের প্রাক্তন তৃণমূল (Trinamool Congress) সভাপতি নাসিম শেখকে দল থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর, সিকন্দর খানের জায়গা দখল করে টাকা ও প্রভাব নিজের হাতে নিতে চেয়েছিল অভিযুক্ত। ঘটনার পর থেকে বেপাত্তা নাসিম শেখ। যদিও তাঁর পরিবারের দাবি, নাসিম দীর্ঘদিন তৃণমূল করতেন, বিজেপি নয়। কিন্তু নিহতের স্ত্রী বলেন, নাসিম আসলে বিজেপি-ঘনিষ্ঠ এবং সিকন্দর তৃণমূলে দাঁড়ানোর পর থেকেই তাঁর পিছনে লেগেছিল।

শাসক দলের (Trinamool Congress) একের পর এক নেতাকর্মী খুন

বাঁকুড়ার আগে, কোচবিহারের ভরা বাজারে প্রকাশ্যে গুলি করে খুন করা হয় যুব তৃণমূল নেতা অমর রায়কে। ৪৮ ঘণ্টা কেটে গেলেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে নিহত অমর রায়ের মা, যিনি নিজেও তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত প্রধান, তিনি CBI তদন্তের দাবি তোলেন। তাঁর অভিযোগ, পুলিশ চাইলে সবই করতে পারে, কিন্তু করছে না।

Trinamool Congress Leader Murder in Sonamukhi Sparks Infighting Allegations Over Govt Funds

আরও পড়ুনঃ “যা মুখে আসবে তাই বলবেন”, অভয়ার বাবাকে আইনজীবীর চিঠি কুণালের, ক্ষমা না চাইলে মামলার হুঁশিয়ারি!

ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক খুনের ঘটনায় রাজ্যের শীর্ষ প্রশাসনও নড়েচড়ে বসেছে। দলীয় (Trinamool Congress) সূত্রের খবর, মঙ্গলবার ভার্চুয়াল বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের প্রশ্ন করেন, এত খুন হচ্ছে কীভাবে? থানার দায়িত্ব কোথায়? তাঁর স্পষ্ট বার্তা, দায়িত্ব নিয়ে বসে থাকলেই হবে না, কাজ করতে হবে।