ইংরেজবাজার থেকে কোচবিহার, ৩৭ দিনে খুন ১০ তৃণমূল কর্মী, প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন মমতা

Published on:

Published on:

Mamata slams police over TMC leader murders

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে শাসক দলের নেতাদের উপর লাগাতার হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মঙ্গলবার প্রশাসনিক বৈঠকে তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, থানাগুলি যেন দায়িত্ব নিয়ে এলাকায় নজরদারি চালায়। IB কেন আগে থেকে খবর পাচ্ছে না, এই প্রশ্নও তোলেন মুখ্যমন্ত্রী।

‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ নিয়ে বৈঠকে ক্ষোভ প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee)

প্রসঙ্গত মঙ্গলবার ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ নিয়ে বৈঠকে ক্ষোভ প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এদিন তিনি কোনও পুলিশ অফিসারের নাম না করলেও, পুলিশের সর্বস্তরের আধিকারিকদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়ে বলেন, “দায়িত্ব নিয়ে বসে থাকলেই হবে না, কাজ করতে হবে।” এদিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিভিন্ন জেলার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার এবং কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনাররা।

খুনের পরিসংখ্যানে শাসক শিবিরে চাঞ্চল্য

সরকারি হিসাব বলছে, মাত্র ৩৭ দিনে তৃণমূল কংগ্রেসের ১০ জন নেতা-কর্মী খুন হয়েছেন। ইংরেজবাজার, ভাঙড়, সুতি, লাভপুর, মল্লারপুর থেকে শুরু করে কোচবিহার, বারবার বোমা, গুলি, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রক্তাক্ত রাজপথ। বেশ কিছু ক্ষেত্রে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ উঠেছে দলের ভেতরেই। একাধিক ঘটনায় তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাই গ্রেফতার হয়েছেন।

সম্প্রতি সোনামুখীতে খুন হয়েছে শাসকদলের নেতা। এই খুনের নেপথ্যে কি দলীয় কোন্দল, এবার এই নিয়ে শুরু হয়েছে উত্তেজনা। কিছুদিন আগেই কোন্নগরে প্রকাশ্য রাস্তায় এলোপাথাড়ি কোপ মেরে হত্যা করা হয় দাপুটে তৃণমূল নেতাকে। বাঁকুড়ায় রাত ৯টার পরপর গুলি চালিয়ে খুন বুথ কনভেনারকে। অন্যদিকে কোচবিহারের ভরা বাজারে গুলি করে খুন ডায়াগুড়ির পঞ্চায়েত প্রধান কুন্তলা রায়ের ছেলে।

WBCHSC Launch Modern Bookmart to Tackle School Textbook Shortage

আরও পড়ুনঃ সামনে পরীক্ষা অথচ বই নেই? ই-কমার্স সুবিধা নিয়ে আসছে উচ্চ মাধ্যমিক সংসদ, এবার ঘরে বসেই মিলবে বই, জানুন কিভাবে

রাজনৈতিক মহলের মতে, এই ধারাবাহিক খুনের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) মন্তব্য এবং নির্দেশ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া বার্তা প্রশাসনের উপর এবার সরাসরি চাপ তৈরি করবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বিশেষ করে “আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান” বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভপ্রকাশ স্পষ্ট করে যে, স্থানীয় থানাগুলির ব্যর্থতা নিয়ে তিনি আর নীরব নন। ফলে রাজ্যজুড়ে থানার কাজে আরও সক্রিয় নজরদারি শুরু হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।