বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনের অভিযোগে পতঞ্জলিকে বড় স্বস্তি, IMA’র মামলা খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

Published on:

Published on:

Supreme Court Closes IMA Plea Against Patanjali Misleading Ads

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) ১১ অগাস্ট ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (IMA)-এর দায়ের করা একটি মামলা খারিজ করে দিয়েছে। মামলায় দাবি করা হয়েছিল, পতঞ্জলির বিজ্ঞাপনগুলি বিভ্রান্তিকর এবং আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতিকে হেয় করছে। তবে আদালত (Supreme Court) জানিয়েছে, এই মামলায় IMA যে মূল প্রতিকার চেয়েছিল, তা ইতিমধ্যেই পূরণ হয়েছে, তাই মামলাটি চালিয়ে যাওয়ার আর প্রয়োজন নেই।

পতঞ্জলির বিরুদ্ধে IMA-এর অভিযোগ

IMA অভিযোগ করেছিল যে পতঞ্জলির একাধিক বিজ্ঞাপন আধুনিক চিকিৎসার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে এবং গ্রাহকদের বিভ্রান্ত করছে। এর আগে আদালত (Supreme Court) এই বিজ্ঞাপন ও নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তার দিকে নজর দেয় এবং পতঞ্জলির বিরুদ্ধে অবমাননার মামলা শুরু করে। পরে কোম্পানি বারবার ক্ষমা চাওয়ায় সেই মামলা বন্ধ হয়ে যায়।

১৭০ নম্বর নীতি বাতিল ও বিতর্ক

উল্লেখ্য, ১ জুলাই ২০২৪-এ আয়ুষ মন্ত্রক ১৯৪৫ সালের ওষুধ ও প্রসাধনী বিধিমালার ১৭০ নম্বর নিয়ম বাতিল করে। আগে এই নিয়ম অনুযায়ী, আয়ুর্বেদ, সিদ্ধা ও ইউনানি ওষুধের বিজ্ঞাপন দেওয়ার আগে রাজ্য লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হত। নিয়ম বাতিলের পর বিভ্রান্তিকর দাবি রোধে সমস্যা বাড়বে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়। তবে ২০২৪ সালের আগস্টে বিচারপতি সন্দীপ মেহতার বেঞ্চ এই নিয়ম বাতিলের ওপর সাময়িক স্থগিতাদেশ দিয়ে আগাম অনুমোদনের প্রয়োজনীয়তা ফিরিয়ে আনে।

আদালতের (Supreme Court) চূড়ান্ত মন্তব্য

বিচারপতি কে ভি বিশ্বনাথন প্রশ্ন তোলেন, কেন্দ্র কোনও নীতি বাতিল করলে রাজ্য কীভাবে তা কার্যকর করবে। বিচারপতি বিভি নাগরত্ন জানান, আদালত কেন্দ্র কর্তৃক বাতিল হওয়া কোনও নিয়ম পুনর্বহাল করতে পারে না। তাই মামলাটি শেষ করার পরামর্শ দেন তিনি। আদালত (Supreme Court) সতর্ক করে বলেছে, বিজ্ঞাপন বন্ধ ও ওষুধ অনুমোদন নিয়ে অতিরিক্ত বিধিনিষেধ অন্যায্য বাণিজ্যিক কার্যকলাপ বাড়াতে পারে।

Supreme Court Closes IMA Plea Against Patanjali Misleading Ads

আরও পড়ুনঃ ভোটের আগে ময়দানে মন্ত্রীরা, ‘পাড়া সমাধান’ প্রকল্পের নিয়মে বড় বদল আনলেন মুখ্যমন্ত্রী

সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) এই সিদ্ধান্তে IMA-এর অভিযোগের আইনি পথ বন্ধ হলেও, বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন ও আয়ুষ ওষুধের প্রচারে নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি এখনও আলোচনায় রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়ম বাতিল বা স্থগিত, যাই হোক না কেন, গ্রাহকের সুরক্ষা এবং সঠিক তথ্যপ্রাপ্তি নিশ্চিত করাই হওয়া উচিত মূল লক্ষ্য।