নয়া মোড়? সুপ্রিম কোর্টে বকেয়া DA মামলার শুনানির মধ্যেই সামনে এল বড় ‘প্রমাণ’

Published on:

Published on:

dearness allowance(16)

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মঙ্গলে সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়েছে ডিএ মামলার (Dearness Allowance) শুনানি। মহার্ঘ ভাতা সংক্রান্ত মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী ২৬ আগস্ট। ডিএ মামলা দীর্ঘায়িত হওয়ায় কিছুটা হতাশ সরকারি কর্মচারীরা। তবে এরই মধ্যে বড়সড় আপডেট সামনে আসছে। সূত্রের খবর, সাম্প্রতিক একটি আরটিআই (তথ্যের অধিকার আইন) উত্তর সামনে আসছে। ডিএ মামলার পরবর্তী শুনানিতে এই RTI বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

ডিএ মামলার শুনানির আগেই সামনে নয়া তথ্য? Dearness Allowance

দুর্গাপুরের বাসিন্দা শ্রী পলাশ দত্তের করা একটি আরটিআই-এর জবাবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অর্থ দপ্তর ডিএ প্রাপক কর্মচারীদের সংখ্যার একটি হিসাব দিয়েছে। ২২শে জুলাই, ২০২৫ এ আরটিআই এর উত্তর দেওয়া হয়েছে, যা ডিএ মামলার পরবর্তী শুনানিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি হিসেবে পেশ করার সম্ভাবনা রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

আরটিআই-এর উত্তরে জানানো হয়েছে, রাজ্য সরকারি কর্মচারী, এআইসিটিই (সর্বভারতীয় কারিগরি শিক্ষা পরিষদ) বিভাগ, ইউজিসি (বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন), ওয়েজেস পে-স্কেলের কর্মচারী, গ্রান্ট-ইন-এইড (এইচআরএমএস-এর অধীনে) এই সমস্ত বিভাগ মিলিয়ে মোট ৩,৪০,১৩১ জন রাজ্য সরকারি কর্মচারী ডিএ পাওয়ার অধিকারী। এই পরিসংখ্যান ডিএ মামলার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

কেন? আসলে এই সংখ্যা ডিএ মামলায় বড় প্রমাণ হিসেবে কাজ করতে পারে। কারণ এর মাধ্যমে আদালতে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যার উল্লেখ করতে পারবে রাজ্য সরকার। তবে এখানেও কিছু জটিলতা রয়েছে। কারণ বেশ কিছু ক্ষেত্রের কর্মচারী এবং পেনশনভোগীদের সংখ্যা এই হিসাবের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত নেই। আরটিআই উত্তরে উল্লেখ করা হয়েছে যে নিম্নলিখিত ব্যক্তিরা এই হিসাবের অন্তর্ভুক্ত নন।

dearness allowance(12)

আরও পড়ুন: ভোটের আগে ময়দানে মন্ত্রীরা, ‘পাড়া সমাধান’ প্রকল্পের নিয়মে বড় বদল আনলেন মুখ্যমন্ত্রী

রাজ্য সরকারের পেনশনভোগী এবং পারিবারিক পেনশনভোগীরা, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের কর্মচারী এবং অন্যান্য কিছু প্রতিষ্ঠানের কর্মী, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের শিক্ষকদের তথ্যও এই পরিসংখ্যানে অন্তর্ভুক্ত নয় বলে জানানো হয়েছে। অর্থাৎ আরটিআই-এ যে সংখ্যা দেওয়া হয়েছে, তার থেকে মোট ডিএ প্রাপকের সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এবার এই RTI এর তথ্য ডিএ মামলায় কোনো নতুন মোড় আনতে পারে কী না সেটাই দেখার।