পুষ্টিগুণে ঠাসা ইলিশ! এই মাছেই কমবে কঠিন অসুখ, বলছেন চিকিৎসকেরা

Published on:

Published on:

Hilsa Fish is full of nutrients this fish will reduce serious diseases say doctors

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ইলিশ মাছ (Hilsa Fish) ও বাঙালির যুগলবন্দী রয়েছে প্রাচীনকাল থেকে। বর্ষাকাল আসতে না আসতে পারে ইলিশ মাছ চাই বাঙালি থেকে ভোজনরসিকদের। তবে এই মাছের দাম যা, যা কিনতে গেলে যথারীতি পকেটে চাপ পড়ে মধ্যবিত্তের। কিন্তু পুষ্টিবিদদের (Nutritionists) মতে এই মাছ শুধুমাত্র যে রূপ অথবা স্বাদের জন্য উপকারী তা নয়। এই মাঝে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ।

শরীরের যত্ন নিতে খান রুপোলি শস্য, বলছেন পুষ্টিবিদরা (Hilsa Fish)

বারোমাস ইলিশের (Hilsa Fish) চাহিদা তুঙ্গে থাকে। তার উপর বর্ষাকালে এই মাছের চাহিদা আরও বেশি থাকে। তাই এই ইলিশকে মাছেদের রানী বলা হয়। কারণ এই মাছের যেমন গন্ধ। তেমনি এই মাছ খেতে সুস্বাদু হয়। পাশাপাশি স্বাস্থ্যের পক্ষে খুব ভালো। কারণ ইলিশে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি। পুষ্টিবিদদের মতে এই মাছ খেলে শরীরের নানান অসুখ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। ইলিশ খেলে শরীরে কি কি উপকার হয় তা নিচে আলোচনা করা হল।

হৃদযন্ত্রের সুরক্ষা: ইলিশ মাছে (Hilsa) স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ একেবারে কম থাকে। এছাড়াও ইলিশ মাছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। যার ফলে রক্তে কোলেস্টেরল বেড়ে যাবার কোন ঝুঁকি থাকেনা। ফলে হৃদযন্ত্র ভালো থাকে।

Hilsa Fish is full of nutrients this fish will reduce serious diseases say doctors

আরও পড়ুন: রক্তে ছিল অভিনয়, সিনেমা করেছিলেন উত্তম কুমারের সঙ্গে, সকলের মন ভার করে চিরনিদ্রায় বাসন্তী চট্টোপাধ্যায়

রক্ত সঞ্চালন সচল রাখে: রক্ত সঞ্চালনার ক্ষেত্রে ইলিশ মাছের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ এই মাছ বা অন্যান্য সামুদ্রিক মাছে থাকা ইপিএ ও ডিএইচএ ওমেগা থ্রি অয়েল শরীরের ইকসিনয়েড হরমোন তৈরি হাওয়ায় বাধা দেয়। এই হরমোনের প্রভাবে রক্ত জমাট বেঁধে শিরা ফুলে যায়। ইলিশ মাছ শরীরে রক্ত সঞ্চালন সচল রাখে।

বাতের যন্ত্রনা: ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড বেশি থাকলে বাতের ব্যথা বৃদ্ধি পায়। কিন্তু ইলিশ মাছে (Hilsa Fish) ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের পরিমান অনেক কম। এর ফলে শরীরে (Health) বাতের ব্যথা নিয়ন্ত্রনে রাখতে সাহায্য করে।

(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য। কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনারা চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।)