বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বৃহস্পতিবার ধনধান্য স্টেডিয়ামে উদযাপিত হয়েছে ‘কন্যাশ্রী দিবস’। এবছর ছিল ‘কন্যাশ্রী প্রকল্পের’ ১২তম বর্ষ। এদিন এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও ছাত্রীদের পুরস্কার ও সম্বর্ধনা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তবে এদিনের এই অনুষ্ঠানটি কেবল কন্যাশ্রী প্রকল্পের উদযাপনেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, বরং বাংলার মাতৃভাষা এবং রাজ্য রাজনীতির উত্তাপও এদিন স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়। মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার বার্তা দেন এবং বাংলা ভাষার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
বাংলা ভাষার মাধুর্য ও ইংরেজি ভাষার গুরুত্ব নিয়ে বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee)
এদিন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) বলেন, “আমি করি দেশের ও বিশ্বসেরা বাংলা। বাংলা ভাষার মাধুর্য কোথাও পাবেন না। তবে ইংরেজি ভাষা শেখাও দরকার, এটি আন্তর্জাতিক ভাষা। তবে দয়া করে মাতৃভাষা, মাটি ভুলবেন না।” মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরও বলেন যে, “আগে ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত ইংরেজি শেখানো বন্ধ ছিল, কিন্তু সরকার এসে এটি চালু করেছে। সব ভাষাই জানা উচিত। যত ভাষা শিখবেন, তত উন্নত হবেন।”
কন্যাশ্রী প্রকল্পে সম্প্রসারণ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) বলেন…
বর্তমানে বাংলায় ৯৩ লক্ষের বেশি কন্যাশ্রী রয়েছে। এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) বলেন, আগামী বছরের মধ্যে সংখ্যা এক কোটি করার পরিকল্পনা। আগে শুধুমাত্র দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত কন্যাশ্রী দেওয়া হতো, এখন কলেজ পর্যায়ের মেয়েরাও উপকৃত হচ্ছেন।
উল্লেখ্য, কিছু দিন আগে বাংলা ভাষা নিয়ে বিজেপির আইটি সেল প্রধান অমিত মালব্য একটি পোস্ট করেন। মমতা তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “বাংলা বলে কোনও ভাষা নেই? আমাদের ভাষাকে নিয়ে খেলবেন না, অসম্মানও করার চেষ্টা করবেন না। জাতীয় সঙ্গীতের ভাষা কে লিখেছিলেন? রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বন্দে মাতরম লিখেছেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।” ভাষা নিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রের মধ্যে এই বিতর্ক বর্তমানে রাজনীতিতে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি করেছে।
আরও পড়ুনঃ ৭৯তম স্বাধীনতা দিবসে জিএসটি সংস্কারের ঘোষণা, দীপাবলীতে ‘ডাবল উপহার’ দেবেন মোদী
বৃহস্পতিবার কন্যাশ্রী দিবসের মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) স্পষ্ট করে দিয়েছেন, মাতৃভাষা ও বাংলার মর্যাদা রাজ্য রাজনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ন অংশ। এদিনের উদযাপনে শুধুমাত্র কন্যাশ্রী প্রকল্পের অর্জন নয়, বরং রাজ্য রাজনীতিতে মাতৃভাষার গুরুত্ব পুনঃস্থাপনেরও বার্তা ছিল।