“আমাদের বাঁচান”, তিলোত্তমার বাবার আবেদনে সাড়া দিলেন রাষ্ট্রপতি, সরাসরি চিঠি গেল মুখ্যসচিবের কাছে

Published on:

Published on:

Droupadi Murmu's eye on Tilottama's family's complaint

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর কাণ্ডে নিহত তরুণী তিলোত্তমার পরিবারের অভিযোগে এবার সরাসরি হস্তক্ষেপ করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Droupadi Murmu)। ছিল তোমার বাবা-মায়ের আর্তির প্রেক্ষিতে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে রিপোর্ট তলব করেছে রাষ্ট্রপতির দপ্তর। ঠিক কী ঘটেছিল ৯ অগস্টের নবান্ন অভিযানে এবং কেন ফের অভিযোগ জানাতে হল রাষ্ট্রপতিকে, সেই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।

নবান্ন অভিযানের দিন হামলার অভিযোগ

গত ৯ অগস্ট, তিলোত্তমার মৃত্যুবার্ষিকীর দিন তিলোত্তমার পরিবার বিচারের দাবিতে পথে নামেন। অভিযোগ, পুলিশের লাঠিচার্জে আক্রান্ত হন তিলোত্তমার মা। মেয়ের মৃত্যুর ন্যায়বিচারের দাবিতে পথে নামা পরিবারকে হেনস্থার ঘটনায় ক্ষোভ ছড়ায়। এরপরেই রাষ্ট্রপতির (Droupadi Murmu) কাছে সরাসরি ইমেইল পাঠানো হয় পরিবারের পক্ষ থেকে।

রাষ্ট্রপতির (Droupadi Murmu) কাছে আর্জি তিলোত্তমার বাবা-মায়ের

১৩ অগস্ট তিলোত্তমার বাবা রাষ্ট্রপতিকে ইমেইল করে লিখেছিলেন,”আমাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমাদের বাঁচান। আমরা সব হারিয়েছি। আমার মেয়েকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। মৃত্যুবার্ষিকীতে স্ত্রীকে আক্রমণ করা হয়েছে। এই নিয়ে তিনবার আমরা মেইল করলাম। এবার উত্তর দিন।” পরিবারের এই আর্তির পরেই দ্রুত পদক্ষেপ করে রাষ্ট্রপতির দপ্তর।

উল্লেখ্য, এর আগেই, ১৪ অগস্ট রাষ্ট্রপতির দপ্তর থেকে একটি ইমেইল যায় তিলোত্তমার বাবার কাছে। তাতে রাষ্ট্রপতির (Droupadi Murmu) তরফ থেকে পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়া হয় তিলোত্তমার বাবাকে। জানানো হয়, রাষ্ট্রপতি দপ্তর থেকে নিয়মিত পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হবে। অবশেষে এবার মুখ্যসচিবকে পাঠানো চিঠিতে নবান্ন অভিযানে তিলোত্তমার মাকে আঘাত করার ঘটনার কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তার রিপোর্ট চাওয়া হল।

Draupadi Murmu's eye on Tilottama's family's complaint

আরও পড়ুনঃ লস্কর জঙ্গির কবরস্থানে শ্রদ্ধা পাকিস্তানি সেনার, সেনা ও জঙ্গি আঁতাতের ফের প্রমাণ দিল ভারত

তিলোত্তমা কাণ্ডে বরাবরই সরব বিরোধীরা। এবার রাষ্ট্রপতির (Droupadi Murmu) হস্তক্ষেপে নতুন করে চাপে রাজ্য প্রশাসন। মৃত তরুণীর পরিবারের অভিযোগ ও আর্জি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে রাষ্ট্রপতির দপ্তরে। তিলোত্তমা ধর্ষণ ও খুন কাণ্ডে এবার রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ মামলার মোড় ঘোরাতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।