বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্য বিধানসভায় পাস হওয়া বিল অনির্দিষ্টকালের জন্য আটকে রাখা যাবে না। এই মর্মে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশের বিরুদ্ধে আপত্তি জানাল কেন্দ্র। কেন্দ্রের দাবি, আদালতের এ ধরনের হস্তক্ষেপে দেশে ‘সাংবিধানিক বিশৃঙ্খলা’ তৈরি হতে পারে।
সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) অবস্থান
গত এপ্রিল মাসে বিচারপতি জেপি পর্দিওয়ালা ও বিচারপতি আর মহাদেবনের বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল, রাজ্যপাল বা রাষ্ট্রপতি অনন্তকাল ধরে বিল আটকে রাখতে পারবেন না। সিদ্ধান্ত গ্রহণের সর্বাধিক তিন মাসের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল আদালত। তামিলনাড়ু সরকারের পক্ষ থেকে দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতেই এই রায় আসে।
তবে এবার কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে আদালতে হলফনামা দিয়ে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান, সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) সংবিধানের ১৪২ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বিস্তৃত ক্ষমতা রাখলেও, সংবিধান সংশোধন করার অধিকার নেই। তাঁর কথায়, “রাজ্যপাল বা রাষ্ট্রপতির অফিসকে অধস্তনে নামিয়ে আনা যায় না। এই পদগুলি গণতন্ত্রের সর্বোচ্চ আদর্শ বহন করে। অভিযোগ থাকলে রাজনৈতিক বা সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় সমাধান করতে হবে, অযাচিত হস্তক্ষেপের মাধ্যমে নয়।”
প্রসঙ্গত, বিগত কয়েক বছরে অবিজেপি রাজ্যগুলিতে রাজ্যপাল-সরকার সংঘাত চরমে পৌঁছেছে। পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, তামিলনাড়ু, প্রায় প্রতিটি রাজ্যই অভিযোগ করেছে, রাজ্যপাল প্রশাসনিক কাজে হস্তক্ষেপ করছেন, কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকারের হয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করছেন। দিল্লির আম আদমি পার্টিও ক্ষমতায় থাকাকালীন একই অভিযোগ তুলেছিল লেফটেন্যান্ট গভর্নরের বিরুদ্ধে।
সংবিধানের ২০০ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, রাজ্যপাল বিল অনুমোদন করতে পারেন, সময় নিয়ে রাখতে পারেন, কিংবা রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাতে পারেন। তবে বিধানসভায় সেই বিল পাস হলে তা আটকে রাখার অধিকার নেই। তামিলনাড়ু সরকারের অভিযোগ, এই নিয়ম মানছেন না রাজ্যপাল। আদালতের (Supreme Court) নির্দেশের পরেও কেন্দ্রের এই আপত্তিতে মামলার জট আরও ঘনীভূত হল। ১৯ অগাস্ট থেকে প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের নেতৃত্বে এ সংক্রান্ত শুনানি শুরু হবে।