১২ বছরের বিজেপি সফর শেষ, তৃণমূলে যোগ দিয়েই সঙ্ঘমিত্রার মন্তব্যে অস্বস্তিতে শাসকদল

Published on:

Published on:

Trinamool Congress welcomes former BJP leader Sanghamitra Choudhury

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দীর্ঘ ১২ বছরের রাজনীতির সাথে যুক্ত দক্ষিণ কলকাতার প্রভাবশালী নেত্রী সঙ্ঘমিত্রা চৌধুরী শুক্রবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে (Trinamool Congress) যোগ দিয়েছেন। একসময় রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী ও দক্ষিণ কলকাতা সাংগঠনিক জেলার সভাপতির দায়িত্ব পালন করা এই নেত্রী সম্প্রতি দলের অভ্যন্তরে কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন। এই অবস্থায় নিজের রাজনৈতিক অবস্থান শক্ত করার লক্ষ্যে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন তিনি।

তৃণমূলে (Trinamool Congress) যোগ দিয়েই বিস্ফোরক মন্তব্য সংঘমিত্রার

নতুন দলে যোগ দেওয়ার পরই সঙ্ঘমিত্রা মিডিয়ার সামনে জানান, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি আরও মন্তব্য করেন, “বিধানসভায় যাঁরা যতই চিৎকার করুক, ভিতরে ভিতরে সবার সঙ্গে সবার সম্পর্ক ভালো।” এই মন্তব্যে তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতৃত্ব খানিকটা বিব্রত হয়ে পড়েছে।

তবে সূত্রের খবর, সিপিএম নেতারা সঙ্ঘমিত্রার মন্তব্যে খুশি। তাদের মতে, তৃণমূল এবং বিজেপি মূলত একই মুদ্রার দুই পিঠ। কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, “বিজেপিতে চান্স পাচ্ছি না, তাই চললাম তৃণমূলে। ব্যাপারটা আসলে এরকম যে, যাঁরা ভেবেছিলেন বিজেপি লড়াই করে তৃণমূলকে ক্ষমতা থেকে সরাবে তাঁরা প্রতারিত হয়েছেন। একই ভাবে যাঁরা ভাবছেন, বিজেপিকে তৃণমূল ঠেকাবে, তাঁরাও প্রতারিত হচ্ছেন। বিজেপি আর তৃণমূল একই।”

তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “সঙ্ঘমিত্রা সদ্য তৃণমূলে এসেছেন। তাঁর আরও দলীয় বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। তিনি অন্য রাজনৈতিক পরিবেশ থেকে আসছেন, তাই নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা স্বাভাবিক।” অন্যদিকে, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সংক্ষেপে প্রতিক্রিয়া দিয়ে বলেন, “বিজেপিতে ব্যক্তির কোনো মূল্য নেই। আমি কোনো মন্তব্য করব না।”

Trinamool Congress welcomes former BJP leader Sanghamitra Choudhury

আরও পড়ুনঃ ‘আলোচনার মাধ্যমেই তৈরি হয়েছে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা’, বিরোধী দলের অভিযোগ খারিজ করে স্পষ্ট দাবি কমিশনের

দীর্ঘ ১২ বছর বিজেপিতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করার পর সঙ্ঘমিত্রা চৌধুরীর তৃণমূলে (Trinamool Congress) যোগদান রাজ্যের রাজনৈতিক দলবদলকে নতুন রূপ দিয়েছে। তার বক্তব্য ও মন্তব্য ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া তুলেছে, যা ভবিষ্যতে দলে অন্তর্দ্বন্দ্ব ও সমীকরণের দিকে প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।