বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভা কেন্দ্রের হেতেডোবা এলাকায় একটি সরকারি বনসৃজন কর্মসূচিতে তৃণমূলের বিধায়ক নরেন চক্রবর্তী বনবিভাগের কর্মকর্তাদের উপর প্রকাশ্যে অপমানজনক আচরণ করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এই ঘটনার ভিডিও সম্প্রতি তিনি তার নিজস্ব এক্স (X) হ্যান্ডেল থেকে পোস্ট করে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন।
শসার মাধ্যমে ভিডিও পোস্ট করে কটাক্ষ শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)
সোশ্যাল মাধ্যমে ভিডিওটি পোস্ট করে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এদিন লেখেন, “তৃণমূলের নেতা বিধায়ক মন্ত্রীরা মনে করেন যে সরকারি আধিকারিকদের কোনো মান সম্মান বোধ নেই। তাদেরকে যত্রতত্র সর্বসমক্ষে তিরস্কার করা, তাদের সাথে প্রকাশ্যে অপমানজনক আচরণ করা যেন তৃণমূলীদের জন্মগত অধিকার।”
এরপর ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) লেখেন, “পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভা কেন্দ্রের হেতেডোবা এলাকায় বনদপ্তরের একটি বনসৃজন কর্মসূচিতে দুর্গাপুরের ডিএফও শ্রী অনুপম খাঁ কে অন্যান্য আধিকারিকদের সামনেই অপমান করার সাথে সাথেই হুমকি-শাসানি দিলেন পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন চক্রবর্তী। ডিএফও সাহেবের অপরাধ, কেন এই কর্মকান্ডের বিষয়ে নরেন বাবুর সাথে আগে আলোচনা করেন নি, কারণ নরেন বাবু একজন বিধায়ক! এমন বিধায়ক যে বারংবার নিজের বিধায়ক পরিচয় দিয়ে বিধায়ক স্বত্বা কে প্রতিষ্ঠিত করতে হচ্ছে!”
এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও বলেন যে, “দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হলো যে গোটা ঘটনাটার সময় দুর্গাপুরের এসডিএম সহ রাজ্য প্রশাসনের অন্যান্য আধিকারিক এবং গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন, কিন্তু কেউই বিধায়ক নরেনবাবুর বনবিভাগের একজন কর্তার প্রতি এমন অপমানজনক আচরণের প্রতিবাদ করলেন না।”
এরপর শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) প্রশ্ন তোলেন “তৃণমুলের বিধায়ক হলেই কি একজন সরকারি আধিকারিককে এইভাবে অপমান করা যায়? সকলের সামনে অপদস্থ করা যায়?”
সবশেষে, তৃণমূল বিধায়কের এইরূপ আচরণের কটাক্ষ করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও লেখেন যে, “আসলে এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি। তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীরা সরকারি কর্মচারিদের নিজেদের ব্যক্তিগত চাকর-বাকর ভাবেন, তাই দায়িত্ব পালন ঠিকঠাক ভাবে করলেও, শুধুমাত্র আনুগত্যে অভাব দেখা দিলে এদেরকে ইচ্ছাকৃত ভাবে অপমান করা যায়।”
আরও পড়ুনঃ বিরোধী নেতার গলায় ‘পাড়া সমাধান’ প্রকল্পের প্রশংসা, তোলপাড় বিজেপি শিবিরে
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) মারফত ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসতে রাজনৈতিক প্রাঙ্গণে ছড়িয়েছে তুমুল চঞ্চল্য। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ঘটনায় রাজ্যের শাসক শিবির ও বিরোধী দলের মধ্যে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হতে পারে। এই ধরনের সংঘাত ভবিষ্যতে প্রশাসনিক কার্যক্রমেও প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
তৃণমূলের নেতা বিধায়ক মন্ত্রীরা মনে করেন যে সরকারি আধিকারিকদের কোনো মান সম্মান বোধ নেই। তাদেরকে যত্রতত্র সর্বসমক্ষে তিরস্কার করা, তাদের সাথে প্রকাশ্যে অপমানজনক আচরণ করা যেন তৃণমূলীদের জন্মগত অধিকার।
পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভা কেন্দ্রের হেতেডোবা এলাকায় বনদপ্তরের একটি বনসৃজন কর্মসূচিতে… pic.twitter.com/EcQ4usWcb3
— Suvendu Adhikari (@SuvenduWB) August 17, 2025