বাংলা হান্ট ডেস্ক : নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) অভিযোগের তদন্তে নেমে একাধিক সব বিষ্ফোরক তথ্য সামনে এনেছে ইডি (Enforcement Directorate) ও সিবিআই কর্তারা। পেঁয়াজের খোসা ছাড়ানোর মত একটার পর একটা তথ্য সামনে এনেছে তদন্তকারী কর্মকর্তারা। সামনে এসেছে একাধিক প্রভাবশালী নেতার নাম। গ্রেফতার হয়েছেন মানিক থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মত হেভিওয়েট নেতারা। আর এবার উঠে এল বিনয় তামাং-র (Binay Tamang) নাম।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবারই নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট জমা পড়েছে হাইকোর্টে। এই মামলাটির তদন্ত করছে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি। সূত্রের খবর, মুখবন্ধ এই রিপোর্টেই উঠে এসেছে এককালীন তৃণমূল এবং বর্তমান কংগ্রেস নেতা বিনয় তামাং-র নাম। যোগ রয়েছে রাজ্যের তাবড় তাবড় তৃণমূল নেতাদেরও। তারপর থেকেই জল্পনা রাজ্য রাজনীতিতে।
অভিযোগ ছিল, জিটিএ এলাকায় অর্থাৎ পাহাড়ে ৩২৩ জন শিক্ষকের নিয়োগে বেনিয়ম হয়েছে। আর এবার এই দুর্নীতিতে একটি চিঠি পৌঁছেছে সিআইডির দফতরে। এই চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, পাহাড়ের এই নিয়োগ দুর্নীতিতে হাত রয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে বিনয় তামাং-র। এবং এই দুর্নীতিতে মদত জোগানোর অভিযোগ রয়েছে ডিস্ট্রিক্ট ইন্সপেক্টর বা ডিআই এবং তৃণমূল ছাত্রনেতা তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন : দক্ষিণবঙ্গে হাওয়া বদলের পূর্বাভাস, টানা ৭২ ঘন্টা তাণ্ডব চলবে এই ৯ জেলায়, ভয়ঙ্কর রিপোর্ট IMD-র
এই চিঠি পাওয়া মাত্রই তা জমা দেওয়া হয়েছে আদালতে। পাশাপাশি আরও জোর দিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি। এদিকে সিআইডি-কে ওই মামলায় হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর। দুর্নীতিতে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতার হাত আছে বলেও জানাচ্ছে তদন্তকারী সংস্থাটি।
আরও পড়ুন : ছত্তীসগঢ়ে CRPF বাহিনীর উপর বড়সড় হামলা, মাওবাদীদের গুলিতে নিহত ৩, গুরুতর জখম ১৪ জওয়ান
ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুরের কাছে পৌঁছালে তিনি বলেন, “যদি এই অভিযোগের সঙ্গে দূর-দূরান্তেও কোনও যোগ পাওয়া যায়, তাহলে যে কোনও শাস্তি পেতে প্রস্তুত। নির্বাচন সামনে এলে এমন অনেক অভিযোগ সামনে আসবে। এগুলো নিয়ে ভাবার সময় নেই। তবে ভেবে ভাল লাগছে, ছাত্রনেতাদেরও আজকাল ভয় পাচ্ছে।”