বাংলা হান্ট ডেস্কঃ স্বাধীনতার পর থেকে রাইসিনা হিলসের সাউথ ব্লকই ছিল প্রধানমন্ত্রী দপ্তরের ঠিকানা (PMO Address)। প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য মন্ত্রী, সাংসদ, ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, সমাজের সকল গণ্যমান্য ব্যক্তিদের আবেদন জানিয়ে আসতে হত এখানেই। তবে স্বাধীনতার ৭৯ তম বছরে ভাঙতে চলেছে সেই ঐতিহ্য। সূত্রের খবর বদলাতে চলেছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে ঠিকানা।
কোথায় হচ্ছে নতুন প্রধানমন্ত্রী দপ্তরের (PMO Address) ঠিকানা?
নয়াদিল্লি বদলে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের (PMO Address) ঠিকানা। সম্প্রতি এক বিশেষ সূত্র মারফত পাওয়া খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, আগামী মাসেই সাউথ ব্লক থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে প্রধানমন্ত্রী দপ্তরকে (PMO Address)। নিয়ে যাওয়া হবে ১০০ মিটার দূর এক্সিকিউটিভ এনক্লেভে। যা তৈরি হয়েছে সদ্য নির্মিত সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের আওতায়। সেখানেই এখন প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর সঙ্গে নিরাপত্তা পরিষদ ও মন্ত্রিসভার একাধিক দপ্তর বসবে।
জানা গিয়েছে, আগের অফিসের তুলনায় নতুন অফিসের আকার অনেকটাই বড় ও আধুনিক ভাবে তৈরি করা হয়েছে। তবে সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের আওতায় তৈরি বিভিন্ন দপ্তর, রাস্তাগুলির নামকরণ হলেও, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের নামকরণ এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে জনসেবাকে প্রতিফলিত করবে এমন কোনও নামের কথাই এই নতুন দপ্তরের জন্য ভাবা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, চলতি মাসেই নতুন সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের অধীনের মধ্যে প্রথম ভবন বা কর্তব্য ভবন উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই কর্তব্য ভবনেই রয়েছে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সরকারি অফিস। রয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অফিসও। কর্তব্য ভবনের অধীনে আবার ৩টি ভবন নির্মাণ করা হবে, যার মধ্যে মোদী কর্তব্য ভবন-৩-র উদ্বোধন করেছেন। ২ ও ১ নং ভবনের কাজ শীঘ্রই শেষ হবে বলে জানা গিয়েছে। এর মাধ্যমে সরকারি দপ্তরগুলি নতুনভাবে গড়ে ওঠা প্রশাসনিক কাঠামোর অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে।
স্বাধীনতার পর থেকে যে সাউথ ব্লক ভারতের প্রশাসনিক শক্তির প্রতীক ছিল, তা এবার ইতিহাসের অংশ হতে চলেছে। নতুন এক্সিকিউটিভ এনক্লেভে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের (PMO Address) সূচনা ভারতীয় প্রশাসনের আধুনিকীকরণের পথে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।