বাংলাহান্ট ডেস্ক : সন্ত্রাসবাদকে নির্লজ্জ সমর্থনের জন্য বিশ্বমঞ্চে পাকিস্তানের (Pakistan) মুখোশ টেনে খুলে দিয়েছে ভারত। ‘অপারেশন সিঁদুর’ এর আঘাতেই সাজানো সব জারিজুরি ফাঁস হয়ে গিয়েছে পাকিস্তানের। কিন্তু ভাঙলেও মচকানোর নাম নেই প্রতিবেশী দেশের। চিনের সঙ্গে তো আগে থেকেই সদ্ভাব ছিল পাকিস্তানের (Pakistan), এবার আমেরিকাকেও দলে টেনে শেহবাজ শরিফের দেশ।
পাকিস্তানের (Pakistan) অন্দরে কী পরিকল্পনা করছেন মুনির?
অপারেশন সিঁদুরের পরপরই ফিল্ড মার্শাল পদে উন্নীত হন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির (Asim Munir)। তারপর থেকেই জল্পনা চলছে, তলে তলে বড় অভ্যুত্থানের পরিকল্পনা করছেন তিনি। কীরকম অভ্যুত্থান? ওয়াকিবহাল মহলের মতে, পাকিস্তানে (Pakistan) আসল ক্ষমতা রয়েছে সেনাবাহিনীর হাতেই। এবার রাষ্ট্রপতি আসিফ আলি জারদারিকে সরিয়ে নিজেই সেই জায়গা নাকি দখল করার পরিকল্পনা করছেন মুনির।
কী জানান পাক সেনাপ্রধান: যদিও এই জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন আসিম মুনির। তাঁর অভিযোগ, এই সমস্ত গুজবের কোনও বাস্তব ভিত্তি নেই। দেশের সরকার এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে দূরত্ব তৈরির চেষ্টা চলছে। গত জুলাই মাস থেকেই শুরু হয়েছে এমন জল্পনা। কিন্তু মুনিরের পাশাপাশি পাক (Pakistan) প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নকভিও এই গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন : ফের রাজপাটে বদল বাংলাদেশে? ভোটের আগেই বড় সিদ্ধান্ত ইউনূস সরকারের
চিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা প্রসঙ্গে মুনির: বর্তমানে আমেরিকার সঙ্গে বিশেষ ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে পাকিস্তানের (Pakistan)। এ বিষয়ে আসিম মুনির বলেন, দুই দেশের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা হবে। এক বন্ধুর জন্য অন্য বন্ধুকে ত্যাগ করা যাবে না। চিন পাকিস্তানের (Pakistan) দীর্ঘদিনের বন্ধু। মুনির স্পষ্ট করে দিয়েছেন, আমেরিকার সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখতে গিয়ে চিনকে ত্যাগ করতে পারবেন না তিনি।
আরও পড়ুন : গলছে দু’দেশের সম্পর্কের বরফ, দীর্ঘ পাঁচ বছর পর ফের শুরু হতে চলেছে ভারত-চিন সরাসরি বিমান পরিষেবা!
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি আমেরিকা থেকে ফেরার সময় কিছুসময়ের জন্য বেলজিয়ামে ছিলেন তিনি। সে সময় বিভিন্ন জনের সঙ্গে তিনি সাক্ষাৎ করেন। সূত্রের খবর বলছে, অভ্যুত্থানের গুঞ্জনের বিষয়ে মুনির জানান, ঈশ্বর তাঁকে দেশের রক্ষক করে পাঠিয়েছেন। তিনি অন্য কোনও পদ চান না। পাশাপাশি তাঁর মতে, আন্তরিক ভাবে ক্ষমা চাইলেই পাকিস্তানে রাজনৈতিক পুনর্মিলন সম্ভব। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, নাম না করে কারাবন্দী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকেই কটাক্ষ করেছেন তিনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পেরও প্রশংসা করেন মুনির। ভারত অবশ্য আমেরিকা-পাকিস্তানের এই ঘনিষ্ঠতার দিকে সতর্ক জন্য রেখে চলেছে।