বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সোমবার সকালে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সাগরদিঘি থানার মোড়গ্রাম লাগোয়া ১২ নম্বর ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের লোহাল মোড়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় আতঙ্ক ছড়াল এলাকা জুড়ে। সূত্রের খবর, চলন্ত NBSTC-র শিলিগুড়িগামী একটি বাস হঠাৎ আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায়। তবে সৌভাগ্যবশত এই ঘটনায় কোনও যাত্রী হতাহত হননি।
কিভাবে আগুন লাগে বাসটিতে?
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনাটি ঘটে সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ। ৫০ আসনের ওই বাসটিতে প্রায় ৩০ জন যাত্রী ছিলেন। চলন্ত অবস্থায় ইঞ্জিনে আচমকা আগুন লাগে। চালক দ্রুত বাস থামিয়ে যাত্রীদের নেমে যেতে বলেন। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লেও সবাই লাগেজ-সহ দ্রুত নেমে পড়েন। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে গোটা বাসে। প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, “চালকের তৎপরতার জন্যই ওই মুহূর্তে বড় দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে।”
মুহূর্তের মধ্যে সম্পূর্ণভাবে পুড়ে যায় বাসটি
বাসের মধ্যেই থাকা অগ্নিনির্বাপন যন্ত্র দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা হয়, কিন্তু ব্যর্থতা আসে আগুনের তীব্রতায়। খবর পেয়ে সাগরদিঘি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দমকলের ইঞ্জিন এলেও ততক্ষণে পুরো বাস দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে। ফলে শেষমেশ সম্পূর্ণভাবে পুড়ে যায় NBSTC-র বাসটি।
পরিবহণ দপ্তরের সূত্রে জানা গিয়েছে, বাসটি রানাঘাট ডিপো থেকে ছেড়ে শিলিগুড়ি যাচ্ছিল। রানাঘাট ডিপোর ইনচার্জ সত্যনারায়ণ হালদার জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করা হচ্ছে শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত। উত্তরবঙ্গ পরিবহণ দপ্তরের মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ডিভিশন্যাল ম্যানেজার সুমিত ভৌমিক বলেন, “ইঞ্জিনিয়াররা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছেন। অন্য কোনও কারণ আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
আরও পড়ুনঃ দুর্গাপুজোয় সরকারি অনুদান ঘিরে ফের আইনি লড়াই, হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের
প্রাণহানি না হলেও ব্যস্ত সময়ে এই দুর্ঘটনা বড়সড় অঘটনের আশঙ্কা তৈরি করেছিল। প্রশাসনের দাবি, আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা রুখতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।