বাংলাহান্ট ডেস্ক- রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কেনার জন্য মাশুল গুনতে হচ্ছে ভারত (India) কে। কিন্তু একই ভুল করেও পার পেয়ে যাচ্ছে চিন (China)! এই নিয়ে বিশ্ববাজারে বিতর্কের শেষ ছিল না। তাই এবার, কেন এই দ্বিচারিতা সেই নিয়ে এবার সাফাই দিল মার্কিন বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও (Marco Rubio)। তাঁর দাবি, রুশ তেল কেনার শাস্তিস্বরূপ চিনের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক চাপালে তা বিশ্ববাজারে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। বিশেষত ইউরোপের ভোগান্তি বেশি হতে পারে। তাই বেশ কিছুটা ছক কষেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (United States)।
ভারতের (India) ওপর শুল্ক কোপ
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) ভারতের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছে। তাঁর যুক্তিতে, রাশিয়া-ইউক্রেন (Ukraine) যুদ্ধ আবহেও ভারত রাশিয়ার থেকে কম দামে অপরিশোধিত তেল কেনা চালিয়ে যাচ্ছে। তাই তার শাস্তিস্বরূপ অতিরিক্ত কর চাপানো হয় ভারতীয় পণ্যের উপর। এক্সিকিউটিভ অর্ডার সই করে ট্রাম্প জানান, ২১ দিন পর থেকে ভারতের নয়া শুল্কহার কার্যকর হবে। সেই অর্ডারে গোটা গোটা করে লেখা হয়, ‘ভারত বর্তমানে রাশিয়া থেকে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে তেল আমদানি করছে। তাই আমার মনে হয় ভারতের উপর আরও বেশি শুল্ক চাপানো দরকার’।
ভারত যতক্ষণ না রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করছে ততক্ষণ পর্যন্ত ভারতের সঙ্গে কোনওরকম বাণিজ্যিক আলোচনা বসা হবেনা এবং ভবিষ্যতে আরও কঠোর শাস্তিও দেওয়া হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
আরও পড়ুন : ভোটের মুখে নয়া চমক! প্রতিমাসে মিলবে ৫০০০, বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী
চিনের ওপর শিথিলতা নিয়ে সাফাই- রবিবার আমেরিকার সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজে (Fox News) সাক্ষাত্কারে রুবিও বলেন, ‘যদি চিনের ওপর এখন ফের নতুন করে শুল্ক চাপানো হয় তবে তারা রাশিয়া থেকে কেনা তেল বাজারে পরিশোধিত করে ফের বিক্রি করবে। যা ক্রেতারা বেশি দামে কিনতে বাধ্য হবে অথবা অন্য কোনও বিকল্প উত্স খুঁজতে হবে। আর এই পরিকল্পনা নিয়ে ইউরোপীয় দেশগুলি অস্বস্তি প্রকাশ করেছে’।
আরও পড়ুন : যখন তখন ঘটতে পারে কেলেঙ্কারি! ৯ মাসেই আমূল বদল সেন্ট্রাল থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত মেট্রোয়
দ্বিচারিতা নিয়ে সমালোচনা- শুল্ক বৃদ্ধি নিয়ে ভারত জানায় জাতীয় স্বার্থের কথা ভেবে এরকম আরও বহু দেশ এই একইভাবে রুশ তেল কিনছে। কিন্তু শুধুমাত্র ভারতকেই শাস্তি ভোগ করতে হচ্ছে। যা অত্যন্ত ‘দুর্ভাগ্যজনক’। ভারতের বিদেশ মন্ত্রক এই ঘোষণা আগেই ‘অন্যায্য ও অযৌক্তিক’ বলে দাবি করেছে।এছাড়াও বিভিন্ন সমালোচকরা ভারতের ওপর এই চাপ আরোপকে তাঁরা “কপটতা” বলেই অভিহিত করছেন।