বাংলাহান্ট ডেস্ক : যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দৃষ্টিহীন ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু সবাইকে হতবাক করে দিয়েছে। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তের জন্য গঠন করা হয়েছে কমিটি। পরিবারের দাবি, নির্যাতনের জন্যই মৃত্যু হয়েছে ওই ছাত্রীর। পরিবারের অভিযোগের তীর বিশ্ববিদ্যালয়েরই দুই ছাত্রের দিকে। তদন্ত চলাকালীন সময়ে অভিযুক্ত ছাত্রের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢোকার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গঠন করা হবে অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি। ইতিমধ্যেই দুই ছাত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে পরিবারের তরফে।অভিযুক্তদের মধ্যে এক সিনিয়র ছাত্র ও অপরজন গবেষক। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে আজ জানানো হয়, তদন্ত চলার সময়ে ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারবে না এক ছাত্র।
আরোও পড়ুন : হাওড়া, শিয়ালদা নয়! এবার এই স্টেশন থেকেই পাবেন রাম রাজ্যে যাওয়ার ট্রেন, উচ্ছ্বসিত আমজনতা
মৃত ছাত্রী যে বিভাগে পড়তেন, সেই বিভাগের এক ছাত্রী বলেছেন, মৃত ছাত্রী কখনো তাদের বলেনি যে তার উপর মানসিক চাপ আছে কি না। মৃত্যুর আগের দিন ছাত্রীটি তার বিভাগের এক সিনিয়র ছাত্রীকে ফোন করে বলেছিলেন, ‘তুমি আমাকে বিক্রি করার ব্যবস্থা করে দিতে পারবে’। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের দৃষ্টিহীন ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় তার দাদুর বাড়ি থেকে।
মৃত ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, তাদের মেয়েকে শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যাচার করা হত। জোর করে নেশা করানো হত মৃত ছাত্রীকে। মৃত রেনাসাঁর বাবা বাইরে থাকেন কর্মসূত্রে। গত বৃহস্পতিবার মৃত ছাত্রীর বাড়িতে কেউ ছিলেন না। মৃতার দিদা বিকালে বাড়িতে ফিরে এলে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে দেখতে পান। এরপর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা ছাত্রীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।