জয়েন্টের ফলপ্রকাশ না করলে বিকাশ ভবনের সামনে ধর্না, মমতাকে ‘ডেডলাইন’ বেঁধে দিলেন শুভেন্দু

Published on:

Published on:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : রাজ্যে শিক্ষাব্যবস্থার দিনদিন অবনতি হচ্ছে বলে বারবার সরব হয়েছে বিরোধীরা। সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও প্রকাশ হয়নি জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ফলাফল। সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইচ্ছা করে ভর্তি বন্ধ রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ব্যবসা করার গুরুতর অভিযোগ এনেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এভাবে বাংলার ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ আরও অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী, এমনই অভিযোগ করেছেন তিনি।

জয়েন্টের ফলপ্রকাশ না হওয়ায় বিক্ষোভ শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)

এদিন রাজভবনের বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দাগতে দেখা গিয়েছে শুভেন্দুকে (Suvendu Adhikari)। তিন মাস হয়ে গিয়েছে উচ্চমাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ হয়েছে। অথচ জয়েন্টের ফলপ্রকাশ হয়নি। তার জেরে আটকে ভর্তির প্রক্রিয়া। সম্প্রতি বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, ফলপ্রকাশে আর কোনও আইনি জটিলতা নেই। তারপরেও কেন সামনে আনা হচ্ছে না ফলাফল? প্রশ্ন তুলে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)।

Suvendu adhikari gave state government deadline to release WBJEE result

মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর: এদিন তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতে এমন শিক্ষা বিপর্যয় আর হয়নি। এ বিষয়ে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তাঁরা। কটাক্ষ শানিয়ে তিনি বলেন, জাতীয় ওবিসি তালিকার বাইরে থাকা ৭৬ টি মুসলিম জনগোষ্ঠীদের তালিকায় যুক্ত করার জন্য ৫ লক্ষ ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ ধ্বংস করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন : ভোটের মুখে নয়া চমক! প্রতিমাসে মিলবে ৫০০০, বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী

ধর্নার হুঁশিয়ারি বিরোধী দলনেতার: শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এদিন বলেন, ‘সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যত ভেঙে পড়বে, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্যবসা ততই ফুলেফেঁপে উঠবে। সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু রেখে অন্তত এক হাজার কোটি টাকা ব্যবসা করার সুযোগ করে দিয়েছে তৃণমূল সরকার। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন।

আরও পড়ুন : একলাফে ৭০০০ টাকা পর্যন্ত বাড়বে বেতন! পুজোর আগেই বড় ঘোষণা করবেন মুখ্যমন্ত্রী?

শুভেন্দুর স্পষ্ট কথা, চলতি সপ্তাহের কর্ম দিনগুলির মধ্যে জয়েন্টের ফলপ্রকাশের নির্দেশ না দেওয়া হলে, প্রথম বর্ষে ভর্তি শুরু না হলে বিকাশ ভবনের সামনে সারা দিনব্যাপী ধর্না দেওয়া হবে আগামী সপ্তাহে। রাজনৈতিক সহকর্মী এবং শিক্ষাবিদরাও সেই ধর্নায় অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।