লক্ষ লক্ষ টাকা জালিয়তির ‘প্রমাণ নেই’! ১২ বছর পর সারদা চিটফান্ড কেসে বেকসুর খালাস সুদীপ্ত-দেবযানী

Published on:

Published on:

Sarada Chitfund Case

বাংলাহান্ট ডেস্ক: লক্ষ লক্ষ টাকার জালিয়াতির অভিযোগে ২০১৩ সাল থেকেই জেলবন্দি ছিলেন সারদা চিটফান্ড কাণ্ডের (Sarada Chitfund Case) দুই মাথা দেবযানী ও সুদীপ্ত (Sudipta Sen)। ১২ বছর পর তথ্য ও প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস করল আদালত। হেয়ার স্ট্রীট থানায় ২০১৩ সালে অর্থলগ্নি সংস্থার কর্ণধার সুদীপ্ত সেন এবং সংস্থার অন্যতম কর্ত্রী দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তিনটি মামলায় এফআইআর রজু করা হয়। এবার সেই তিন মামলাতেই তাঁদের বেকসুর খালাস করা হল।

প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস সুদীপ্ত-দেবযানী | Sarada Chitfund Case

এখনই জেলমুক্তি হচ্ছে না সুদীপ্ত-দেবযানীর। ২০১৩ সাল থেকে খবরের শিরোনামে ছিল সারদা চিটফান্ড কাণ্ড। তিনটি মামলা মিলিয়ে প্রায় ১০-১৫ লক্ষ টাকার প্রতারণা অভিযোগ ছিল সুদীপ্ত-দেবযানীর বিরুদ্ধে। তবে মঙ্গলবার তাঁদের নগর দায়রা আদালতে বিচারভবনের ১১ নং জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিধি শ্রী’র আদালতে মামলার শুনানিতে বেকসুর খালাস করা হয়। বিচারকের এই রায়ে কিছুটা স্বস্তি তাঁরা পেলেও এখনই জেলমুক্তি হচ্ছে না তাঁদের। জানা যাচ্ছে তাঁদের বিরুদ্ধে এখনও অনেক মামলা বিচারাধীন রয়েছে। সুদীপ্তর অর্থলগ্বি সংস্থার প্রায় ২০০ টিরও বেশি প্রতারণার অভিযোগে মামলা রয়েছে। তাছাড়াও তাঁদের বিরুদ্ধে ইডি ও সিবিআইয়ের করা মামলাও এখনও বিচারাধীন রয়েছে। যার ফলে এখনই তাঁরা জেল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন না।

আইনজীবীদের মতামত-

চিটফাণ্ড দুর্নীতিকাণ্ডের অন্যতম মাথা হলেন দেবযানী মুখোপাধ্যায়। ২০১৩ সালে দেবযানী ও সুদীপ্তকে কাশ্মীরের শোনমার্গ থেকে এখই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়। জেলে তাঁদের দুজনকে যৌথভাবে জেরা করা হয়। দেবযানীর আইনজীবীর দাবী, সরকার পক্ষের কাছে ৫০ জনের সাক্ষীর তালিকা ছিল যারা প্রতারমার অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু তার মধ্যে মাত্র ১৫ জন সাক্ষ দিতে আসে। আইনজীবীর মতে যারা প্রতারণার অভিযোগ করেন তাঁদের কাছেও কোন প্রমাণ নেই তার জন্য তাঁরা সাক্ষ দিতে আসেনি। যার ফলে হেয়ার স্ট্রীট থানার তিনটি মামলাতেই তাঁধের বেকসুর খালাস করেছে আদালত। আর এই তিনটি মামলাই সারদাকর্তা এবং দেবযানীর বিরুদ্ধে প্রথম মামলা বলে জানান আইনজীবী শুভজিৎ বল।

বর্তমানে দমদম সেন্ট্রাল জেলে রয়েছেন দেবযানী রয়েছেন। আর সুদীপ্তকে রাখা হয়েছে প্রেসিডেন্সি জেলে। ১২ বছর পর সারদা মামলায় এই প্রথম কোনও রায় দিল আদালত, যা ভবিষ্যতের অন্যান্য মামলাগুলিতেও প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন আইনজ্ঞরা।

আরও পড়ুন: আরজি কর সংক্রান্ত মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন হাই কোর্টের বিচারপতি, বললেন…

২০১৩ সালে কাশ্মীরের শোনমার্গে গা ঢাকা দিয়েছিলেন সুদীপ্ত-দেবযানী। সেখান থেকেই তাঁদের দুনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপর থেকে ১২ বছর ধরে জেলে কাটিয়েছে তাঁরা। এই প্রথম আদালত এই মামলায় বড় রায়দান করল বিচারক। যদিও ২০২৩ সালে দেবযানী কয়েক ঘণ্টার প্যারোলে ছাড়া পেয়েছিলেন। রাজ্যের একাধিক জেলায় বিভিন্ন থানায় প্রতারিতেরা সারদা অর্থলগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন। প্রথমে রাজ্য পুলিশ তারপরে তদন্তভার হাতে নিয়ে সিবিআইও মামলা রুজু করে। পাশাপাশি ইডি এবং সেবি-ও সুদীপ্তের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে।