বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় নয়া মোড়। এবার বিপাকে রাজ্যের আরেক মন্ত্রী। বুধবার আদালতে ইডি (ED) জানাল, রাজ্যের ক্ষুদ্র এবং কুটির শিল্পমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার (Chandranath Sinha) বিরুদ্ধে দেওয়া চার্জশিটে অনুমোদন দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। অনুমোদন মিলতেই আদালতে গৃহীত হয়েছে চার্জশিট।
নিয়োগ দুর্নীতিতে ED-র স্ক্যানারে চন্দ্রনাথ | Recruitment Scam
এদিন আদালতের নির্দেশ, চন্দ্রনাথ সিনহাকে ১৫ দিনের মধ্যে তলবের সমন পাঠাতে হবে। উল্লেখ্য, অগাস্টেই কলকাতার বিশেষ সিবিআই আদালতে চন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয় ইডি। কিন্তু এতদিন রাজভবন থেকে চার্জশিটের অনুমোদনের প্রয়োজনীয় নথি হাতে না-পাওয়ায় বিচারপ্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাচ্ছিল না।
এর আগে আদালতে ইডির দাবি ছিল, রাজ্যপালের অনুমোদন না মেলায় সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ করা যাচ্ছে না। তবে এবার রাজভবন তরফে অনুমতি মিলল। এবার মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়ায় আর কোনও বাধা থাকল রইল না। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে মমতার বীরভূম সফরের মধ্যেই রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিন্হাকে (Chandranath Sinha) তলব করেছিল ইডি (ED)।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তল ঘোষের রেজিস্টারের সূত্র ধরে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার নিচুপট্টির বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। মন্ত্রীর বাড়ি থেকে ৪১ লক্ষ টাকা নগদ বাজেয়াপ্ত করা হয়। সেই সময় মন্ত্রীর ফোনও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। পরে সেই ফোনটি খোলার জন্য মন্ত্রীকে তলব করা হয়েছিল।
রাজ্যের প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের সূত্রে মন্ত্রীকে তলব করেছিল ইডি। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যুব তৃণমূলের বহিষ্কৃত নেতা কুন্তল ঘোষকে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে গ্রেফতার করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সূত্রের খবর, তল্লাশি চালিয়ে কুন্তলের বাড়ি থেকে একাধিক তথ্য মিলেছিল। একটি রেজিস্টারও উদ্ধার করা হয়েছিল। আর তাতেই নাম ছিল রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার।
আরও পড়ুন: কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে তেড়ে আসছে বৃষ্টি! বিকেলে উঠবে ঝড়ও: আবহাওয়ার খবর
কুন্তল ঘোষের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া রেজিস্টারে মন্ত্রীর নামের পাশে ১০০ জনের নামের একটি তালিকা ছিল। তালিকায় থাকা সেসব নাম চাকরিপ্রার্থীদের কী না, তার সঙ্গে মন্ত্রীর কী যোগ! এই রকম একাধিক প্রশ্ন সামনে আসে সেই সময়। এর আগে চন্দ্রনাথ সিনহার নিচুপট্টির বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। একাধিকবার তলবও করা হয়েছিল মন্ত্রীকে।