বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ফের জঙ্গি সংগঠন জয়েশ-ই-মহম্মদ আবার সক্রিয় হচ্ছে পাকিস্তানে (Pakistan)। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, অপারেশন সিঁদুরের পর তাদের সংগঠনের অবস্থা চুরমাচুর হয়ে যাওয়ার পর, ফের নতুনভাবে পাকিস্তানে কোমর সোজা করে দাঁড়ানোর চেষ্টায় আছে জয়েশ। এর জন্য তারা নাকি চুপিসারে টাকাও তুলছে।
৩১৩ টি নতুন নিরাপদ ঘাঁটি তৈরির পরিকল্পনা
জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের (Pakistan) বিভিন্ন জায়গায় ৩১৩টি নতুন মারকাজ বা নিরাপদ ঘাঁটি তৈরির পরিকল্পনা করেছে জয়েশ। এর জন্য তারা প্রায় ৩৯১ কোটি পাকিস্তানি টাকা সংগ্রহ করেছে। জয়েশ প্রধান মৌলানা মাসুদ আজহার ও তাঁর ভাই তালহা আল সইফ সরাসরি এই তহবিল সংগ্রহের প্রচারে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সমর্থকদের কাছে তাঁরা বারবার চাঁদা দেওয়ার ডাক দিচ্ছেন।
গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, এর জন্য ইজিপয়সা এবং সদাপে-র মতো ডিজিটাল ওয়ালেট ব্যবহার করা হচ্ছে। কারণ, তাতে আন্তর্জাতিক জঙ্গি কার্যকলাপ ও তহবিল সংক্রান্ত নিয়ন্ত্রক সংস্থা এফএটিএফ বা ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের নজর বাঁচিয়ে চলা যাবে। এছাড়া, প্রতি শুক্রবার পাকিস্তানের বিভিন্ন মসজিদে গাজাবাসীদের ত্রাণের নাম করে নগদে চাঁদা সংগ্রহ চলছে। কিন্তু, আদতে সেই টাকা যাচ্ছে জয়েশের ভাঁড়ারে।
চাঁদা থেকে পাওয়া টাকা শুধু সংগঠনের ভাঁড়ারে নয়, অস্ত্র কেনাতেও ব্যবহার হচ্ছে। গোয়েন্দা সূত্র বলছে, সংগঠন বিদেশি অস্ত্র কিনতে শুরু করেছে। যেমন মেশিন গান, রকেট লঞ্চার ও মর্টার। সেই সঙ্গে নতুন তালিম শিবির ও নিরাপদ ডেরা বানানোর কাজও শুরু করেছে জয়েশ।
আরও পড়ুনঃ সরকারি কোষাগরের টাকা কি দান করা যায়? পুজোয় অনুদান দেওয়া নিয়ে আদালতে প্রশ্নের মুখে রাজ্য সরকার
সব মিলিয়ে, পাকিস্তানে (Pakistan) ফের মাথা তুলে দাঁড়ানোর প্রচেষ্টায় জয়েশ-ই-মহম্মদ। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম আর নগদ অর্থে চাঁদা তুলে তারা আবারও বড়সড় সন্ত্রাসী কার্যকলাপের প্রস্তুতি নিচ্ছে। গোয়েন্দাদের মতে, এই ঘটনা ভবিষ্যতে ভারতের জন্য বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে।