ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি? OBC সংরক্ষণ নিয়ে মমতার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

Published on:

Published on:

Suvendu Adhikari accuses Mamata over misuse of OBC certificates

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ওবিসি সার্টিফিকেটকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগে ফের সরব হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় দীর্ঘ পোস্ট করে তিনি তৃণমূল নেতৃত্ব এবং রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক দাবি তুলেছেন।

রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ওবিসি সার্টিফিকেটের অপব্যবহার নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)

শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) লিখেছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার প্রশাসন কর্তৃক রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ওবিসি সার্টিফিকেটের ব্যাপক অপব্যবহার আবারও উন্মোচিত হয়েছে। অযোগ্যতা সত্ত্বেও, বহু বছর ধরে, তৃণমূল নেতারা পশ্চিমবঙ্গ প্রশাসনের সহায়তায় জাল ওবিসি সার্টিফিকেট অর্জন করে সংরক্ষিত ওবিসি আসনে অবৈধভাবে নির্বাচিত হয়ে আসছেন।”

পোস্টে তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার চাঁদিপুর ব্লকের ঈশ্বরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান খুকুরানি মণ্ডল ঘোরাইয়ের ঘটনা। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) বক্তব্য অনুযায়ী, ভুয়া ওবিসি সার্টিফিকেট জমা দিয়ে তিনি সংরক্ষিত আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। এখন সেই পদ খোওয়ানোর মুখে তিনি। শুভেন্দুর অভিযোগ, “এটি হিমশৈলের চূড়া মাত্র, একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে আরও হাজার হাজার এরকম ঘটনা প্রকাশ করতে পারে।”

এদিন বিজেপি নেতা আরও দাবি করেন, “ওবিসি সার্টিফিকেটের এই স্পষ্ট অপব্যবহার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওবিসি শ্রেণীবিভাগকে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ের প্রতি আকাঙ্ক্ষার দিকেও ইঙ্গিত করে।” পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেছেন, মুখ্যমন্ত্রী মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য সুবিধা বাড়াতে চেয়েছিলেন। এর ফলে শিক্ষাক্ষেত্রে সংকট তৈরি হয়েছে। শুভেন্দু মনে করিয়ে দেন, কলকাতা হাইকোর্ট ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিতর্কিত ওবিসি তালিকা বাতিল করেছে। এর ফলে কলেজ ভর্তি এবং জেইই ফলাফল আটকে আছে।

Suvendu Adhikari accuses Mamata over misuse of OBC certificates

আরও পড়ুনঃ ‘বাংলাদেশি’ সন্দেহে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের মারধর, খাস কলকাতায় উত্তেজনা

শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) দাবি, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোট ব্যাংক তুষ্টির ফলে ৫ লক্ষেরও বেশি শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।” রাজ্যের তরুণদের ভবিষ্যৎ নিয়ে এই প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এখন দেখার, তৃণমূল শিবির এই অভিযোগের পাল্টা জবাব কীভাবে দেয়।