বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এসএসসি সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে ফের সুপ্রিম (Supreme Court) ভর্ৎসনার মুখে পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশন (School Service Commission)। এদিন এসএসসির (SSC) উদ্দেশে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের মন্তব্য, ‘আপনারা এখনও নিজেদের পছন্দের অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরিতে ঢোকাতে চাইছেন? এটা লজ্জাজনক। ট্রুলি শকিং। আমরা আগেই বলেছি, কোনও ভাবেই কোনও অযোগ্য ব্যক্তিকে নিয়োগ পরীক্ষায় বসতে দেওয়া যাবে না।’
কমিশনের ভূমিকায় বিরক্ত সুপ্রিম কোর্ট | Supreme Court
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে সঞ্জয় কুমার ও সতীশ চন্দ্র শর্মার বেঞ্চে একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়ে রাজ্য সরকার ও স্কুল সার্ভিস কমিশন। উল্লেখ্য, এই প্রথম নয়, এর আগেও এসএসসি ইস্যুতে বারে বারে আদালতের ভর্ৎসনার পাত্র হয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। এবারেও কমিশনের ভূমিকায় ক্ষোভ উগরে দিয়ে বড় মন্তব্য বিচারপতির।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের নতুন নিয়োগ পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি ২০১৬ সালের মতো এবারেও গ্র্যাজুয়েশনে ৪৫ শতাংশ নম্বর পাওয়া চাকুরিরত শিক্ষকদের নতুন নিয়োগ পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়ার দাবি জানিয়ে সুপ্রিম দুয়ারে গিয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। সেই মামলাতে বড় নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
মামলাকারীদের তরফে দাবি করা হয়, এতদিন সুপ্রিম কোর্ট কী রায় দেয় সেই অপেক্ষায় ছিলেন তারা, ফলে ফর্ম ফিল আপ করেননি। সময় বাড়ানোর আর্জি জানান তারা। এসএসসি-র নয়া নিয়োগ পরীক্ষার দিন পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়েও সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পরীক্ষার্থীদের মধ্যে কয়েকজন।
মামলাকারীদের দাবি ছিল, ২০১৬ সালের ন্যায় এবারের নিয়োগ পরীক্ষাতেও গ্র্যাজুয়েশনে ৪৫ শতাংশ নম্বর পাওয়া চাকুরিরত শিক্ষকদের নতুন নিয়োগ পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হোক। আদালতের নির্দেশ, ৪৫ শতাংশ নম্বর নিয়ে যাঁরা আবেদন করতে পারছিলেন না, তাদের বিষয়টাও খতিয়ে দেখা হোক। চাকুরিরত যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ফর্ম ফিল আপ করার জন্য সাত দিন অতিরিক্ত সময় দেওয়ার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের।
আরও পড়ুন: কমিশনের নির্দেশ অমান্য? ২১ অগাস্টের পরও চার আধিকারিকের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নিল না রাজ্য
আদালতের পর্যবেক্ষণ, রাজ্য ও এসএসসি চাইলে পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনা করে দেখতে পারে। এই বিষয়ে নোটিস জারি করে রাজ্য সরকারকে মতামত জানানোর নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।