শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য মহাসঙ্ঘের জন্মাষ্টমী উৎসবের সূচনা শুভেন্দুর হাত ধরে, চালু অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা

Published on:

Published on:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : গত ১৬ ই অগাস্ট, শনিবার ছিল জন্মাষ্টমী (Janmashtami)। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র এই দিন প্রতি বছরই ধুমধাম করে পালন করা হয় রাজ্য তথা সমগ্র দেশে। এ বছরও রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে জন্মাষ্টমী (Janmashtami) উপলক্ষে নানান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। মহা ধুমধামে জন্মাষ্টমীর উৎসব পালন করেছে হাওড়ার রঘুদেবপুরের শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য মহাসঙ্ঘও। সেই উপলক্ষে চারদিন ব্যাপী নানান সাংষ্কৃতিক এবং সামাজিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন ছিল।

চারদিন ধরে পালন জন্মাষ্টমীর (Janmashtami) উৎসব

প্রতি বছরই মহা সমারোহে জন্মাষ্টমী (Janmashtami) পালিত হয় শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য মহাসঙ্ঘের তরফে। এবছর তারা পা দিয়েছে দশম বর্ষে। এই উপলক্ষে চারদিন ধরে পাঁচলা রঘুদেবপুর মোড়ে একাধিক সামাজিক এবং সাংষ্কৃতিক কর্মকাণ্ডের আয়োজন করা হয়েছিল। উদ্যোক্তাদের তরফে জানা গিয়েছে, মুক্তমঞ্চে নানান ভক্তিমূলক এবং সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।

Suvendu adhikari started sree krishna chaitanya maha sangha janmashtami

জন্মাষ্টমী উপলক্ষে সাংষ্কৃতিক প্রতিযোগিতা: আয়োজন করা হয়েছিল অঙ্কন প্রতিযোগিতার। বিপুল সাড়া মিলেছিল তাতে। প্রায় দেড়শোর বেশি প্রতিযোগী তাতে অংশ নিয়েছিলেন বলে জানান উদ্যোক্তারা। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে যোগ দিয়েছিলেন কয়েক হাজার মানুষ। জন্মাষ্টমী (Janmashtami) উপলক্ষে স্থানীয়দের মধ্যে ভোগ বিতরণের আয়োজনও করা হয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে।

আরও পড়ুন : কলকাতায় অফিস খুলছে আওয়ামী লীগ? ইউনূস নালিশ করতেই যোগ্য জবাব ভারতের

সূচনা করেন শুভেন্দু: শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য মহাসঙ্ঘের এ বছরের জন্মাষ্টমী (Janmashtami) উৎসবের সূচনা হয় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে। সামাজিক কর্মকাণ্ডেও বড় উদ্যোগ নেয় এই সংগঠন। আয়োজন করা হয়েছিল রক্তদান শিবিরের। জনসেবার উদ্দেশে এবার অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা চালু করা হয়, যা উদ্বোধন করেন রাজ্যসভার সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপির সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য।

আরও পড়ুন : বাঙালির রসনাপূর্তিতে ‘ভিলেন’ বৃষ্টি, পুজোয় ইলিশের স্বাদ থেকে বঞ্চিতই থাকতে হবে বাঙালিকে?

সংগঠনের সভাপতি জানান, বিগত ৯ বছর ধরে জন্মাষ্টমী (Janmashtami) উৎসব সমারোহ করেই পালন করে আসছেন তাঁরা। এটি ছিল তাঁদের দশম বর্ষ। ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সঙ্গে সঙ্গে এলাকায় বিভিন্ন সাংষ্কৃতিক এবং সামাজিক উদ্যোগও এই সংগঠনের তরফে নেওয়া হয় বলে জানানো হয়েছে।