বাংলা হান্ট ডেস্কঃ স্বাধীনতা দিবসের মঞ্চ থেকেই GST সংস্কারের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অবশেষে সেই পথে বড় পদক্ষেপ নিল কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের উপস্থিতিতে মন্ত্রিগোষ্ঠীর বৈঠকে GST সংস্কারের প্রস্তাবে সম্মতি দেওয়া হয়েছে। GST তে চার স্ল্যাবের জটিলতা কাটিয়ে এবার থেকে থাকবে মাত্র দু’টি হার, যথা- ৫ শতাংশ এবং ১৮ শতাংশ। তবে, ক্ষতিকর ও বিলাসবহুল পণ্যের জন্য রাখা হচ্ছে সর্বাধিক ৪০ শতাংশ করের বিশেষ ব্যবস্থা।
নতুন GST সংস্কারে ক্ষতিকারক পণ্যে ৪০ শতাংশ কর বসানোর সিদ্ধান্ত
বৈঠকে কেন্দ্র জানায়, নতুন সংস্কারের GST থেকে ১২ এবং ২৮ শতাংশ হার তুলে দেওয়া হবে। ফলে দুটি নতুন হার মিলিয়ে সহজ কাঠামোয় GST কার্যকর করা হবে। তবে ক্ষতিকর এবং বিলাসবহুল পণ্যের ক্ষেত্রে আলাদা ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। মদ, সিগারেট, বিলাসবহুল গাড়ি সহ নানা পণ্যে সর্বাধিক ৪০ শতাংশ কর বসানো হতে পারে। সরকার একে ‘সিন ট্যাক্স’ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছ।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধরির নেতৃত্বে গঠিত হয়েছিল ৬ সদস্যের একটি মন্ত্রিসভা বৈঠক। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, কর্নাটক ও কেরলের প্রতিনিধি। এদিনের বৈঠকের শেষে সম্রাট বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার যে প্রস্তাব দিয়েছিল, আমরা সেগুলিতে সায় দিয়েছি। তবে সকলে নিজেদের পর্যবেক্ষণ জানিয়েছেন। কোন কোন রাজ্য বাড়তি কিছু প্রস্তাব জানিয়েছে, সেগুলো নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে GST কাউন্সিল।”
এই বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিনিধি চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, *রাজস্ব ক্ষতির সম্ভাবনা নিয়ে কেন্দ্র কোনও নির্দিষ্ট প্রস্তাব দেয়নি।” এদিন রাজস্ব ক্ষতি কমানোর জন্য ক্ষতিকর পণ্যে ৪০ শতাংশের পাশাপাশি অতিরিক্ত কর আরোপের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
বিমার উপর GST প্রত্যাহার
জীবনবিমা ও স্বাস্থ্যবিমার উপর থেকে ১৮ শতাংশ GST পুরোপুরি প্রত্যাহারের প্রস্তাবও আলোচনায় এসেছে। চন্দ্রিমা সতর্ক করে বলেন, শুধু কর প্রত্যাহার করলেই চলবে না, বিমা সংস্থাগুলি যেন পরে প্রিমিয়াম বাড়িয়ে গ্রাহকদের ঠকাতে না পারে, সেই দিকটিও নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ পথকুকুরের দাপটে নাজেহাল রাজ্য, কড়া হস্তক্ষেপের পথে কলকাতা হাই কোর্ট
সূত্রের খবর, আগামী সেপ্টেম্বরে GST কাউন্সিলের বৈঠকে এই প্রস্তাব নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। দীপাবলির আগেই নতুন GST ব্যবস্থা চালু করার লক্ষ্য নিয়েছে কেন্দ্র। তবে রাজস্ব ক্ষতি, ‘সিন ট্যাক্স’ কার্যকর এবং বিমা সংক্রান্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে এখনই প্রশ্ন তুলেছে রাজ্যগুলি।