বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বীরভূমের (Birbhum) দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। সেই ২০২২ সালে গরু পাচার মামলায় সিবিআই এর গ্রেফতার হয়েছেন বীরভূম জেলা প্রাক্তন তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত ওরফে কেষ্ট। তারপর থেকে এখনও জেলবন্দি হেভিওয়েট এই নেতা। বর্তমানে তার ঠিকানা দিল্লির তিহাড়। দাপুটে নেতার দাপট এখন সবটাই শ্রীঘরের চার দেয়ালের মধ্যে। একদিকে যখন জেলের ভাত খাচ্ছেন কেষ্ট সেই সময় বোলপুরে ৪০ বিঘা সম্পত্তি দখলের অভিযোগ উঠল অনুব্রত মন্ডলের ভাগ্নে রাজা (Anubrata Mondals Nephew Raja) এবং তার আত্মীয়দের বিরুদ্ধে।
শান্তিনিকেতনের বাইপাস মৌজায় বিঘার পর বিঘা জমি ভুয়ো আরএস বের করে মিউটেশন করিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ঘিরে শোরগোল ছড়িয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীদের একাংশের মদতেই চলছে জাল মিউটেশন। আর এই দুর্নীতিরে জেরে সর্বহারা হতে হচ্ছে চাষযোগ্য অথবা ডাঙা জমির মালিকদের।
অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে জাল স্ট্যাম্প ব্যবহার করে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের যোগসাজসে প্রযুক্তির সহায়তায় চলছে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে জমি হাতিয়ে নেওয়ার কাজ। যার ফলে জমির আসল মালিকরা বিপদে পড়ছেন। আর খোদ তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ উঠছে। অভিযোগের তীর কেষ্ট মন্ডলের ভাগ্নে রাজা এবং তার আত্মীয়দের বিরুদ্ধে।
এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন অভিযোগকারী। অমিত দাস নামের ওই ব্যক্তি বলেন, ‘বংশ পরম্পরায় প্রাপ্ত সম্পত্তি। ১৯৬২ সালে এই জমি কেনা হয়। ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত খাজনা দেওয়া আছে। হটাৎ দেখছি প্লট করে করে সেই জমিতে দু একটি বাড়ি হচ্ছে। এরপর ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে খোঁজ নিতেই ঘটনাটা বুঝতে পারি।’
অমিতের অভিযোগ, ‘এর পেছনে হাত রয়েছে জেলার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন সভাপতি রাজা ঘোষ তথা অনুব্রত মণ্ডলের ভাগ্নের। পাশাপাশি পরিবারের অন্য লোকেরাও এর সাথে যুক্ত। জেলা প্রশাসনের এক শীর্ষ আধিকারিকও অভিযোগ স্বীকার করে নেন। তিনি বলেন, ‘তৃণমূলের হেভিওয়েটরা এই ধরনের প্রস্তাব নিয়ে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর ও রেজিস্ট্রি অফিসে আসেন। কাগজ ভুল না জাল তা যাচাই করার সাহস, সুযোগ কোনোটাই থাকে না। আর এখানে তো খোদ অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠরাই এই কাজে লিপ্ত’।
আরও পড়ুন: মোদীর উদ্দেশে ‘গালি’ মমতার, ‘মহিলা বলেই কী ছেড়ে দেওয়া হবে?’, মুখ্যমন্ত্রীর ভিডিও পোস্ট সুকান্তর
ওদিকে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে রাজা ঘোষের দাবি, ওনার এই জমির সঙ্গে কোনও লেনদেন নেই। মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ না হলে তিনি আইনি ব্যবস্থা নেবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন। তবে এই প্রথম নয়। এর আগেও কেষ্টর ভাগ্নে রাজা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে একাধিকবার অভিযোগ উঠেছে। বোলপুরে একাংশের কাছে এই রাজাদের পরিচয় জমি মাফিয়া হিসেবে।