বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) নতুন শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা আর পিছোচ্ছে না। নবান্ন সূত্রে খবর, নির্ধারিত দিনেই পরীক্ষা নেওয়া হবে। প্রায় ৫ লক্ষ ৮০ হাজার প্রার্থী অংশ নিতে চলেছেন দু’দিনব্যাপী এই পরীক্ষায়। সুপ্রিম কোর্ট পরীক্ষা পিছনোর কথা বললেও পরীক্ষা পিছোচ্ছে না বলেই খবর সূত্রের।
কবে পরীক্ষা হবে এসএসসির (SSC)?
সূত্রের খবর, নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, ৭ সেপ্টেম্বর নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা নেবে স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। ১৪ সেপ্টেম্বর হবে একাদশ ও দ্বাদশের শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা। ৫ লক্ষ ৮০ হাজার প্রার্থী দু’দিনের পরীক্ষায় অংশ নিতে চলেছেন।
কেন পিছোবে না পরীক্ষা?
সুপ্রিম কোর্ট বৃহস্পতিবার মৌখিক নির্দেশে জানিয়েছিল, চাইলে এসএসসি (SSC) পরীক্ষা পিছিয়ে দিতে পারে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে তা সম্ভব নয় বলেই মনে করছে রাজ্য। কারণ, আদালতের নির্দেশেই চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিজের নিজের স্কুলে কর্মরত রয়েছেন চিহ্নিত অযোগ্য বাদে অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা। সেক্ষেত্রে সেপ্টেম্বরের নির্দিষ্ট দিনে পরীক্ষা না নিলে বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে বলেই মনে করছে শিক্ষা মহল। কারণ, সেপ্টেম্বরের শেষে দুর্গাপুজো। পুজোর ছুটি পড়ে যাবে। তারপর শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা নিয়ে ফল বের করে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করতে কয়েক মাস সময় লেগে যাবে। যেহেতু আদালত ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চাকরিতে বহাল রাখার নির্দেশ দিয়েছিল, তাই সেই সময়সীমার মধ্যেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সেরে ফেলতে চায় কমিশন। না হলে স্কুলে স্কুলে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর সঙ্কট দেখা দেবে।
তাই আপাতত পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করছেন কমিশনের কর্তারাও। শুক্রবার পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে নবান্নে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। কড়া নিরাপত্তায় পরীক্ষা নির্বিঘ্নে করতে বৈঠকে উপস্থিত জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের একগুচ্ছ নির্দেশ দেওয়া হয়। নবান্নের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, প্রত্যেক জেলায় একজন অতিরিক্ত জেলাশাসক পদমর্যাদার আধিকারিক জেলার পুরো পরীক্ষার তত্ত্বাবধানে থাকবেন। প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত থাকবেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট র্যাঙ্কের সরকারি আধিকারিক। তাঁর দায়িত্বেই চলবে নজরদারি।
এসএসসি (SSC) নিয়োগ পরীক্ষার দিন ঘনিয়ে আসতেই রাজ্যে কড়া নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। কমিশন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, নির্ধারিত দিনেই পরীক্ষা হবে। ফলে লক্ষাধিক পরীক্ষার্থী ও তাদের পরিবার আপাতত নিশ্চিন্ত, নির্ধারিত তারিখেই পরীক্ষা দিতে বসতে চলেছেন তাঁরা।