বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আবার কি ফিরছে টিকটক (TikTok)? শুক্রবার সকাল থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিয়ে তুমুল আলোচনা শুরু হয়। কেউ লেখেন, “ওয়েবসাইট খুলছে!” আবার কেউ বললেন, “ভিডিও দেখা যাচ্ছে না, কিন্তু সাইট অ্যাক্সেস করা যাচ্ছে।” এইসব গুজব ছড়িয়ে পড়তেই কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় যে টিকটক (TikTok), আলি এক্সপ্রেস (AliExpress) বা শিইন (Shein)-এর মতো কোনও নিষিদ্ধ অ্যাপের উপর থেকে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে কোন নিষেধাজ্ঞা তোলা হয়নি।
কিভাবে ছড়াল টিকটক (TikTok) ফেরার গুঞ্জন?
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে ভারত-চিনের সম্পর্কে টানাপোড়েনের পর টিকটক (TikTok) সহ একাধিক চিনা অ্যাপ ভারতে নিষিদ্ধ হয়। পাঁচ বছর পর শুক্রবার হঠাৎই খবর ছড়ায়, আবার ফিরে আসছে টিকটক (TikTok)। কিছু ব্যবহারকারী দাবি করেন, তাঁদের ফোনে অ্যাপটি খোলা যাচ্ছে। তবে হোমপেজ ছাড়া আর কোনও ফিচার চালু হচ্ছিল না। একইভাবে আলি এক্সপ্রেস (AliExpress) এবং শিইন (Shein)-এর ক্ষেত্রেও একই দাবি করেন ব্যবহারকারীরা।
এইসব জল্পনার মাঝেই কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, “ভারতে টিকটক (TikTok) আনব্লক করার কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। এ ধরনের খবর সম্পূর্ণ ভুয়ো এবং বিভ্রান্তিকর।” অর্থাৎ টিকটক (TikTok) বা অন্য কোনও নিষিদ্ধ অ্যাপ ভারতীয় ব্যবহারকারীরা এখনই ব্যবহার করতে পারবেন না।
তবে, এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে একাধিক নিষিদ্ধ চিনা অ্যাপ ফের প্লে স্টোরে ফিরে আসে। যেমন- জেন্ডার (Xender), ট্যানট্যান (TanTan) ইত্যাদি। কিন্তু এর মধ্যেও ভারতীয়দের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় ছিল টিকটক (TikTok)। তাই এর ফিরে আসার খবর রটতেই অনেকে উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েন। কিন্তু সরকারি বার্তা পরিষ্কার যে, টিকটক (TikTok) ভারতে এখনও সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ।
আরও পড়ুনঃ ‘এমন দেশকি চায় মানুষ?’ কেজরীওয়ালকে কাঠগড়ায় তুলে নতুন বিলের সওয়াল শাহের
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৯ জুন ভারত সরকার একসঙ্গে ৫৯টি চিনা অ্যাপের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। তথ্য চুরি ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত আশঙ্কার কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। গালওয়ান সংঘর্ষের পরেই নিষিদ্ধ হয়েছিল টিকটক (TikTok)। পাঁচ বছর পরেও ভারত সরকার যে তার সিদ্ধান্তে অনড় সেটা বোঝা গেল টিকটক (TikTok) ফেরার গুজবের মধ্যেই।