বাংলাহান্ট ডেস্ক : নয় অনাহার, নয়তো সেনার গুলি, মৃত্যু মিছিল অব্যাহত গাজায় (Gaza)। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজার পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। কার্যত মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে এই শহর। আর এবার চরম আশঙ্কা সত্যি করেই গাজাকে (Gaza) দুর্ভিক্ষ কবলিত বলে ঘোষণা করল রাষ্ট্রসঙ্ঘ। সরকারি ভাবে এই ঘোষণার পরেও ইজরায়েল তা মানতে অস্বীকার করেছে।
গাজায় (Gaza) দুর্ভিক্ষের ঘোষণা রাষ্ট্রসঙ্ঘের
শুক্রবার ঘোষণা করা হয়, দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন গাজা (Gaza)। একমুঠো খাবারও এখন সেখানে দিবাস্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রায় ৫ লক্ষ মানুষ সেখানে অনাহারে বাস করছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রধান টম ফ্লেচার বলেন, গাজায় (Gaza) এই পরিস্থিতি আসতই না। সম্পূর্ণ ভাবে আটকে দেওয়া যেত দুর্ভিক্ষ। কিন্তু তা ইজরায়েলের জন্যই সম্ভব হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
অভুক্ত হাজার হাজার শিশু: ইজরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে গাজায় (Gaza) ত্রাণ পৌঁছানো বন্ধ করে দিতেই জোগানের অভাবে অনাহারে শুকিয়ে যেতে বসেছে সেখানকার মানুষ। গাজায় (Gaza) প্রায় ৪ লক্ষ ৭০ হাজার মানুষ অভুক্ত অবস্থায় দিন গুজরান করছে। যুদ্ধ শুরুর পরেই তা জানা গিয়েছিল। এর মধ্যে শিশুর সংখ্যা প্রায় ৭১ হাজার!
আরও পড়ুন : প্রাক্তন দেওরের জন্য পান কাজের সুযোগ, রাখিতে সায়ককে ফোনও করেননি সুস্মিতা!
ত্রাণ পৌঁছানো বন্ধ: গত ২ রা মার্চ থেকেই খাবার, ওষুধের মতো সমস্ত মানবিক সাহায্য গাজায় (Gaza) পৌঁছানো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। পরে ত্রাণের জন্য সম্মতি দেওয়া হলেও ইজরায়েলি সেনার গুলিতে প্রাণ হারাতে হয়েছিল ত্রাণ নিতে আসা বহু মানুষকে। তারপরেই পরিস্থিতি কার্যত হাতের বাইরে বেরিয়ে যায়।
আরও পড়ুন : ট্রেনে ১ ঘন্টার রাস্তা সড়কপথেই ৪০ মিনিটে! বারাসত থেকে বনগাঁ ফ্লাইওভার তৈরি করছে সরকার
ইজরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর মৃত্যুহার হু হু করে বেড়েছে গাজায় (Gaza)। অন্তত ৬০ হাজার প্যালেস্তিনীয়র মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। যদিও রাষ্ট্রসঙ্ঘের ঘোষণার পরেও তা মানতে রাজি নয় ইজরায়েল। নেতানিয়াহুর বিদেশ মন্ত্রকের তরফে দাবি, গাজায় কোনও দুর্ভিক্ষ হয়নি। হামাসের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যের উপরে নির্ভর করে এমনটা দাবি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।