বাংলা হান্ট ডেস্কঃ খাস কলকাতায় (Kolkata) কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যে গণধর্ষণের ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা রাজ্যকে। সেই কসবা (Kasba Case) আইন কলেজে গণধর্ষণের মামলায় এ বার চার্জশিট পেশ করল পুলিশ। তদন্ত শুরু হওয়ার প্রায় দু’মাস পর ৫৮ দিনের মাথায়, শনিবার আলিপুর আদালতে ৬৫০ পাতার চার্জশিট জমা দিল রাজ্য পুলিশ।
কসবাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত মনোজিৎই! Kasba Case
চার্জশিটে মূল অভিযোগ হিসেবে নাম রয়েছে মনোজিৎ মিশ্র-সহ চারজনের। গণধর্ষণ, প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি সহ তথ্য-প্রযুক্তি আইনে চার অভিযুক্তর বিরুদ্ধে মামলা চলছে। চার্জশিটে ৮০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণের কথা বলা হয়েছে। জমা পড়েছে ডিএনএ ও ফরেনসিক রিপোর্টও।
ধর্ষণকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র এবং তার দুই সঙ্গী প্রমিত মুখোপাধ্যায় ও জাইব আহমেদের উল্লেখ রয়েছে। কলেজের নিরাপত্তারক্ষী পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়কেও গ্রেফতার করা হয়েছে। দায়িত্বে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
জানা গিয়েছে, মূল অভিযুক্ত মনোজিতের বিরুদ্ধে ৯টি ধারা, প্রমিত ও জাইবের বিরুদ্ধে ৬টি ধারা, বাকি পিনাকীর বিরুদ্ধে ৭টি ধারা আনা হয়েছে। ১৭০ পাতার চার্জশিট-সহ মোট ৬৫০ পাথার নথি আদালতে জমা দিয়েছে পুলিশ।
জুন মাসে কসবার আইন কলেজের মধ্যেই গণধর্ষণের অভিযোগ তোলেন ওই কলেজেরই এক ছাত্রী। কলেজের ছাত্র সংগঠনের প্রাক্তন নেতা মনোজিৎ মিশ্র ও তার দুই সঙ্গীদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: আবু সাঈদকে গুলি করেছিলেন ইনিই! ভারতে অনুপ্রবেশ করতে গিয়ে পাকড়াও সেই বাংলাদেশ পুলিশ কর্মকর্তা
উল্লেখ্য, ওই তরুণী আগে জানান, তাঁকে বলপূর্বক আটকে রাখা হয়েছিল। একজন ধর্ষণ করেছিল, বাকি দু’জন দাঁড়িয়ে ছিল। তিনি জানান, নির্যাতন শুরু হওয়ার পর তাঁর প্যানিক অ্যাটাক হয়। শ্বাসকষ্ট হতে থাকে। অভিযুক্তদের কাছে শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়ে একাধিকবার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করলেও তাঁরা তাতে কর্ণপাত করেননি বলে জানিয়েছেন অভিযোগকারিণী। পরে এক অভিযুক্ত নির্যাতিতাকে ইনহেলার এনে দেন। এতে খানিকটা সুস্থ বোধ করেন তিনি। কিন্তু এরপর বাড়ি যাওয়ার চেষ্টা করলেই তরুণীকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।