বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত দুই বছর ধরে বাংলায় দাঁড়িয়ে সর্বাধিক চর্চিত নামের মধ্যে একটি হল ‘কালীঘাটের কাকু’ (Kalighater kaku)। কাকু বললেই এখন সকলের মাথায় আসে নিয়োগ দুর্নীতির কালীঘাটের কাকুর কথা। ২০২৩ সালে শিক্ষক কেলেঙ্কারি মামলায় (Recruitment Scam) ইডির হাতে গ্রেফতার হন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র (Sujay Krishna Bhadra)। তারপর থেকে জেলে কম আর এসএসকেএম হাসপাতালে বেশি থেকেছেন তিনি। শারীরিক অসুস্থতার কারণে এখনও তিনি হাসপাতালেই রয়েছেন। এরই মধ্যে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের চিকিৎসা সংক্রান্ত মেডিক্যাল রিপোর্ট কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court) জমা দিল SSKM-কর্তৃপক্ষ।
আদালত সূত্রে খবর, সোমবার সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের জামিন মামলায় এসএসকেএম হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার আদালতে তার মেডিক্যাল রিপোর্ট রিপোর্ট পেশ করেছেন। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতির অভিযুক্ত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র এখনও ‘মেডিক্যালি আনফিট’। অর্থাৎ তিনি এখনও সম্পূর্ণভাবে সুস্থ নন।
প্রসঙ্গত, হৃদ্যন্ত্রে পেসমেকার বসেছে সুজয়বাবুর। অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টিও হয়েছে। হাইকোর্টে এসএসকেএম জানিয়েছে, ‘৮ ডিসেম্বর থেকে আইসিইউ-তে ভর্তি আছেন সুজয়কৃষ্ণ। বুকে স্টেন্ট আছে, বর্তমানে কার্ডিও-অবস্থা স্থিতিশীল’। হাসপাতালের হৃদ্রোগ বিভাগ সুজয়কৃষ্ণের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত রিপোর্ট ইডির কাছেও জমা করেছে। তদন্তকারী সংস্থা তাদের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দিয়ে সমস্তটা পরীক্ষা করে দেখবে।
ওদিকে এদিন মামলার শুনানিতে আইনজীবীদের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। এর আগে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) কিশোর দত্তের (Advocate General Kishore Dutta) ভূমিকায় প্রশ্ন তুলেছিল কলকাতা হাই কোর্ট। এবার রাজ্যের পাবলিক প্রসিকিউটারের সমালোচনা করেন করেছেন বিচারপতি ঘোষ।
আরও পড়ুন: অবশেষে কাটল জট! একজোটে চাকরি পাচ্ছেন ৩২৮জন ‘বঞ্চিত’ শিক্ষক, খুশির হাওয়া রাজ্যে
আদালতের প্রশ্ন, এক সময় অভিযুক্তের হয়ে সওয়াল করার পর ফের এখন কিভাবে পাবলিক প্রসিকিউটর সেই একই অভিযুক্তের মামলায় রাজ্যের হয়ে সওয়াল করছেন? প্রসিকিউটর দেবাশিস রায়কে প্রশ্ন করেন বিচারপতি। এরপরই বিচারপতির মন্তব্য, রাজ্যের আইনজীবীদের এই ভূমিকা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি ফের এই মামলার পরবর্তী শুনানি।