বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচন (Student Election) হয়নি রাজ্যের কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদে। এই নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানিতে রাজ্য তরফে জানানো হল, কলেজে নির্বাচনে রাজ্য কোনও বাধাই দেয়নি। এদিন আদালতে রাজ্য সরকারি আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাজ্য সরকারই ২০১৩ সালে সার্কুলার প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে নির্বাচন করার নির্দেশ দিয়েছিল।
হাইকোর্টে জোরালো সওয়াল কল্যাণের | Kalyan Banerjee
মঙ্গলবার বিচারপতি সুজয় পাল এবং বিচারপতি স্মিতা দাস দে-র ডিভিশন বেঞ্চে এই সংক্রান্ত মামলা ওঠে। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতেই অবিলম্বে ছাত্র সংসদ নির্বাচন করার জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে রাজ্যকে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। র্যাগিং নিয়ে কমিটি গঠনের বিষয়েও বলেছিল হাইকোর্ট।
এদিন মামলাকারীর আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতে বলেন, আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও এখনও র্যাগিংয়ের জন্য কোনও কমিটি গঠন করা হয়নি। বিচারপতি এই নিয়ে প্রশ্ন করলে কল্যাণ বলেন, র্যাগিংয়ের কমিটি করার দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের। তাদের ছাড়া কমিটি গঠন করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। রাজ্যের এখানে কোনও ভূমিকা নেই বলে জানান কল্যাণ।
কলেজগুলি দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কল্যাণ। বলেন এই ক্ষেত্রে রাজ্যের কিছু করার নেই। বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়েই কমিটি গঠন করতে হবে। পাশাপাশি ২০১৩ সাল থেকে রাজ্য বার বার নির্বাচনের বিষয়ে বললেও বিশ্ববিদ্যালয়গুলি তা মানেনি বলে অভিযোগ রাজ্যের আইনজীবীর।
পাল্টা আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, এই বিষয়ে রাজ্য কোনও সার্কুলারই জারি করেনি। রাজ্য নিজস্ব সার্কুলার জারি করে নির্বাচন করেনি? কেন কলেজগুলির উপর কেবল মাত্র দায় ঠেলা হচ্ছে সেই প্রশ্ন তোলেন আইনজীবী। আদালতের নির্দেশ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে এই মামলায় যুক্ত করতে হবে।
আরও পড়ুন: ‘এপ্রিলে BJP ক্ষমতায় এলে চোরেদের স্বমূলে উচ্ছেদ করবে ওরাই’, রাজ্য পুলিশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ শুভেন্দু
উল্লেখ্য, ছাত্র সংসদের নির্বাচন নিয়ে জনস্বার্থ মামলা মামলাটি করেন আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে এই মামলার শুনানিতেই হাইকোর্ট অন্তর্বর্তীকালীন রায় দিয়ে জানিয়েছিল যত দিন না ভোট হচ্ছে অর্থাৎ ছাত্র সংসদ নির্বাচন হচ্ছে মামলা বিচারাধীন থাকবে। পাশাপাশি গোটা রাজ্যে কোন অবৈধ ছাত্র ইউনিয়ন অফিস খোলা থাকবে না বলেও স্পষ্ট জানিয়েছিলেন বিচারপতি। যতদিন না পর্যন্ত কলেজগুলিতে ছাত্র ভোট হচ্ছে ততদিন গোটা রাজ্যের সব কলেজের ছাত্র ইউনিয়নের রুম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় রাজ্যের সর্বোচ্চ আদালত।