সুখবর! এবার বেঙ্গালুরু মুম্বাইয়ের মত দুর্দান্ত ফার্নিচার মিলবে কলকাতাতেও, বড় উদ্যোগ IKEA’র

বাংলাহান্ট ডেস্ক : ঘরের আসবাবপত্র কেনার জন্য ব্র্যান্ড প্রোডাক্ট না হলে আজকের আধুনিক সমাজে কারোরই চলে না। কিন্তু এই ব্র্যান্ড প্রোডাক্ট কলকাতাবাসীদের কিনতে হয় বেশি দামে। কারণ নিজের শহরে পাওয়া যায়না। তাইজন্য প্রোডাক্ট আনতে হয় পাশের রাজ্য থেকে। ফলে দিতে হয় লম্বা GST বিল। সেই অসুবিধা থেকে দূরে থাকার জন্য এবার আমাদের এই আধুনিক কলকাতায় আসছে আইকিয়ার স্টোর।

আইকিয়া প্রথমে ১০,৫০০ কোটি টাকার বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা সফল হওয়ার পর,তাদের চোখ এখন আমাদের এই কলকাতার দিকে। আসলে হায়দ্রাবাদ, দিল্লির পর ভারতে নিজেদের ব্যবসা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে এই সুইডিশ আসবাবপত্র সংস্থা আইকিয়া। ২০১৮ সালের অগস্টে হায়দরাবাদে প্রথম দোকান খুলেছিল এই সুইডিশ আসবাবপত্র সংস্থা আইকিয়া।

আরোও পড়ুন : একটি প্ল্যাটফর্মেই বাজিমাত! রেলের ঘরে ঢোকে কোটি কোটি টাকা, বাংলাতেই আছে এই স্টেশনটি

১০ বছর আগে আইকিয়া ভারতের বাজারে প্রবেশ করেছিল। সেইসময় ১০,৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতির কথা ছিল। এছাড়া অন্যান্য পরিকাঠামো গড়ে তোলার পাশাপাশি ১০ বছরে ১০টি স্টোর খোলার কথা হয়েছিল। পরবর্তীতে আরও ১৫টি স্টোর খোলার পরিকল্পনা করেছিল। সেইমতো মুম্বই এবং বেঙ্গালুরুতেও স্টোর খোলা হয়েছে।

আরোও পড়ুন : সাক্ষী থাকল ইতিহাস! গঙ্গার নীচে হু হু করে ছুটল মেট্রো, কত স্পিড উঠল জানলে হাঁ হয়ে যাবেন

তাই তো আইকিয়া ইন্ডিয়ার সিইও বলেছেন,”ভারতে আইকিয়ার উপস্থিতি আরও বাড়ানোর জন্য পরবর্তী পর্যায়ের বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছি আমরা। দোকানের সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সোর্সিং আরও বাড়ানোর উপর জোর দিচ্ছি আমরা। এটাই পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আমরা যখন তৈরি হয়ে যাবে, তখন আরও নতুন প্রকল্পের বিষয়ে ঘোষণা করা হবে। এইসব পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হচ্ছে।ভারতের বাজারে যে বিপুল সম্ভাবনা আছে, সেটা মাথায় রেখে ‘বড়’ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। প্রচুর যুবক-যুবতী নিজেদের জীবনযাত্রার মান আরও উন্নত করছেন। নিজেদের বাড়ি সাজিয়ে তুলতে টাকা ঢালছেন। ফলে আইকিয়ার সামনে বিশাল সুযোগ আছে।”

1607086877 9274

আসলে আইকিয়া সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে কলকাতা, লখনউ, চণ্ডীগড়, পুণে, চেন্নাইয়ের মতো শহরে শাখাপ্রশাখা বিস্তার করতে চাইছে। কিন্তু বর্তমানে দিল্লি ও ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিয়নের উপরই যাবতীয় মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। তাই তো সুজানের কথায় ছিল,‘এনসিআর ছাড়াও পুণে এবং চেন্নাই নিয়ে আগ্রহ আছে। আমাদের নজরে আছে কলকাতাও। তবে ধাপে-ধাপে সেই পদক্ষেপ ফেলা হবে।’

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর