পিছিয়ে বাংলা! কেন্দ্রীয় অনুমোদন মিললেও রাজ্যের ‘উদাসীনতায়’ আটকে বারাণসী–কলকাতা এক্সপ্রেসওয়ের কাজ, সরব শমীক

Published on:

Published on:

shamik bhattacharyya

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তৃণমূল কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে এক দশকেরও বেশি সময় অতিক্রান্ত হয়েছে। দীর্ঘ এই সময়ে জমি জটে একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কাজ এ রাজ্যে আটকে গিয়েছে বা বিলম্ব হয়েছে বলে বারংবার অভিযোগ সামনে এসেছে। এবারেরও কেন্দ্রীয় অনুমোদন মিললেও রাজ্যের উদাসীনতায় বাংলায় কেন্দ্রের প্রকল্পের কাজ আটকে থাকার অভিযোগ, অভিযোগের তীর মমতা সরকারের দিকে। অন্যান্য রাজ্যগুলি এগিয়ে গেলেও, বাংলায় বারাণসী–কলকাতা এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প (VARANASI-KOLKATA EXPRESSWAY) এখনও DPR (ডিটেইলড প্রজেক্ট রিপোর্ট) পর্যায়ে আটকে আছে। এই নিয়েই এবার সরব বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য (Samik Bhattacharya)।

রাজ্য সরকারের বিলম্বে থমকে রয়েছে কাজ, সরব শমীক | Samik Bhattacharya

সম্প্রতি এই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রী নিতিন গডকরির কাছে প্রশ্ন করেছিলেন শমীক। পরিবহন দপ্তর তরফে উত্তর মিলতে রাজ্য সরকারের উদাসীনতার কথা টেনে সমাজমাধ্যমে শমীক লেখেন, “উত্তরপ্রদেশ, বিহার ও ঝাড়খণ্ডে এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণকাজ পুরোদমে শুরু হয়েছে। অথচ বাংলায় প্রকল্প এখনও DPR (ডিটেইলড প্রজেক্ট রিপোর্ট) পর্যায়ে আটকে আছে।

পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও হুগলিতে জমি অধিগ্রহণের নোটিফিকেশন কেন্দ্র ইতিমধ্যেই জারি করেছে। কিন্তু রাজ্য সরকার বারবার রাস্তার অ্যালাইনমেন্ট বদলাচ্ছে, ফলে কাজ এগোতে পারছে না।

এই এক্সপ্রেসওয়ে সরাসরি উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের সঙ্গে বাংলাকে যুক্ত করবে—বাণিজ্য, পর্যটন ও কর্মসংস্থানে বিপুল সুযোগ তৈরি হবে। কিন্তু রাজ্যের দেরি করার কারণে উন্নয়নের দৌড়ে পিছিয়ে পড়ছে বাংলা।”

আরও পড়ুন: ফের ঝড়-বৃষ্টি শুরু দক্ষিণবঙ্গে, বুধে ভারী বৃষ্টির তুলকালাম একাধিক জেলায়: আবহাওয়ার খবর

বিজেপি সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপির সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যর প্রশ্ন, “অন্য রাজ্যে যখন উন্নয়নের চাকা দ্রুত ঘুরছে, বাংলার মানুষের কি অধিকার নেই একই গতিতে উন্নয়ন পাওয়ার?” বিশেষজ্ঞদের মতে এই এক্সপ্রেসওয়ে চালু হলে বারাণসী থেকে কলকাতার মধ্যে যাতায়াতের সময় উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাবে এবং পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলির মধ্যে শিল্প ও বাণিজ্যের প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে নিশ্চিতভাবে। শেষে বিজেপি সাংসদ লেখেন, “এখন সময় এসেছে রাজ্য সরকার দেরি বন্ধ করে মানুষের স্বার্থে সহযোগিতা করার।”